বিজেবি’র পক্ষ থেকে বিএসএফের কাছে প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল। মানবাধিকার সংগঠনগুলোও এর প্রতিবাদে সরব হয়েছিল। বিএসএফ অবশ্য অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। এ অভ্যন্তরীণ তদন্তে অভিযুক্ত কনস্টেবল অমিয় ঘোষের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। এর পরই তাকে কোর্ট মার্শাল বিচারের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। বিএসএফের নিজস্ব আইন অনুযায়ী বিচার চললেও, ভারতের দণ্ডবিধিতে যা শাস্তির বিধান আছে, সে রকম বা তার থেকেও বেশি শাস্তি দেয়া যেতে পারে। ফেলানীর পিতা ও মা অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছেন। বিএসএফ আদালতেও তারা সে কথা জানাবেন কিনা, তা অবশ্য জানা যায়নি। ফেলানীকে হত্যার দায়ে বিএসএফের অভিযুক্ত কনস্টেবল অমিয় ঘোষ ঘটনার পর থেকেই কোচবিহারে তার ব্যাটালিয়নেই ক্লোজ অ্যারেস্ট রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারা (অনিচ্ছাকৃত খুন) এবং বিএসএফ আইনের ১৪৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।