এ মামলার প্রথম আসামী কালীগঞ্জের তৎকালীন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা(পিআইও) নভেন্দু নারায়ন চৌধুরীও অব্যহতি পেয়েছেন বলে রায়ের কপি সূত্রে জানা গেছে। তাদের দুজনকে অব্যহতি দেওয়ার পাশাপাশি মামলাগুলো নিস্পতিও করে দেন আদালত।
আদালত সূত্র মতে, মাহবুবুজ্জামান আহমেদসহ নভেন্দু নারায়ন চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের করা দুদকের পৃথক ১৩টি মামলার সবকটি থেকে দুজনকেই অব্যহতি দিয়ে লালমনিরহাটের সিনিয়র স্পেশাল জজ মোঃ বজলুর রহমান গত ১৮ মে এ রায় দেন। এর আগে গত ২২ মার্চ দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালত প্রতিটি মামলায় তাঁর রায়ে বলেন, ‘৪০৯ ও ১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমানিত না হওয়ায় তাদেরকে মামলা থেকে অব্যহতি দেয় হলো’।
জানা গেছে, দুদকের সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচলাক মোহাম্মদ জাকারিয়া বাদি হয়ে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর কালীগঞ্জ থানায় মামলাগুলো করেছিলেন। নিয়মানুযায়ী মামলা দায়েরের পর দুদকেই দীর্ঘদিন ধরে সেগুলোর তদন্ত করে। তবে শেষ পর্যন্ত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুদক আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলাগুলোতে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে জিআর চাল আতœসাতের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
জানতে চাইলে মাহবুবুজ্জামান আহমেদ বলেন, ‘আমি একটি সম্ভ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে মানুষ ও সমাজের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে চলছি। ফলে আমার বিরুদ্ধে আতœসাতের অভিযোগ আনা এক ধরণের বেমানান। আর প্রকল্প প্রনয়ণ থেকে শুরু করে চাল উত্তোলন পর্যন্ত পুরো সময়টা আমি সরকারী সফরে দেশের বাইরে ছিলাম। অথচ আমাকে অন্যায়ভাবে এসব মামলায় জড়ানো হয়েছিল যা আদালতের রায়ের মাধ্যমেই প্রমাণিত হয়েছে’।