শনিবার ভোর থেকে হঠাৎ প্রবল বৃষ্টির কারণে প্লাবিত ঘর-বাড়িতে প্রায় ৩ শতাধিক মানুষ আটকে পড়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন এখন পর্যন্ত শতাধিক মানুষকে উদ্ধার করেছেন বলে প্রশাসন জানিয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিস প্লাবিত বাড়িতে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারে কাজ অব্যাহত রেখেছেন।
এ ছাড়া দূরের প্লাবিত ঘর-বাড়িতে কিছু মানুষ আটকে পড়ায় তাদের উদ্ধারে রংপুর সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছেন বলে জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল জানান।
জেলার শতাধিক গ্রামের মানুষ পানিতে আটকা পড়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তাদের অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য জেলা শিল্পকলা একাডেমী, সরকারী কলেজ, সিএম আইয়ুব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। প্লাবিত মানুষ গুলো শিশু, ঘর-বাড়ি, আসবাবপত্র, গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। অনেকে রাস্তায় পাশে গবাদি পশুসহ আশ্রয় নিয়েছেন।
শহরের প্লাবিত অঞ্চলগুলো হচ্ছে, হঠাৎপাড়া, ডিসি বস্তি, সরকার পাড়া ও খালপাড়া, সদর উপজেলার আকচা, রায়পুর, মোহাম্মদপুর, সালন্দর, শুকানপুকুরী ও বালিয়াডাঙ্গী ও রাণীংশকৈল উপজেলায় আশেপাশের অনেক এলাকার বাড়ি-ঘর এখন পানির নিচে।
জেলার বিভিন্ন নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টাঙ্গন নদীর পানি বিপদ সীমার ৪০ মিলি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল জানান, গত দুই দিনের ভারি বর্ষণে জেলার প্রায় ৩০০ ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মানুষ নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে। বাকিদের উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। বর্তমানে দূগর্তদের জেলায় প্রায় শতাধিক আশ্রয় কেন্দ্রে থাকার জায়গা ও ত্রানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।