মঙ্গলবার(২৯ আগস্ট) দুপুরে আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের মরিচবাড়ি চিকন ব্রীজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অবরুদ্ধ সেলিম হায়দার আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের দুলালী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি লালমনিরহাট জেলা পরিষদের ১১ নং ওয়ার্ড সদস্য।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সরকারী বিভিন্ন দফতরে, বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও বিদেশ যাওয়া কথা বলে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় জেলা পরিষদ সদস্য সেলিম হায়দার। চাকুরী প্রত্যাশীদের ভুয়া নিয়োগ পত্র দিয়ে প্রতারনা করে। চাকুরী না পেয়ে টাকা ফেরত চাইতে গেলে চাকুরী প্রত্যাশী ও বিদেশ গামিদের গালমন্দ করে মেরে ফেলার হুমকী প্রদান করে।
প্রতারক জেলা পরিষদ সদস্য সেলিম হায়দার গ্রামের বাড়িতে না থেকে ঢাকায় অাত্নগোপনে ছিলেন। মঙ্গলবার(২৯ আগস্ট) গ্রামের বাড়িতে এলে স্থানীয় পাওনাদাররা তার গাড়ি আটক করে। এসময় লোকজনকে মেরে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন সেলিম হায়দার।
খবর পেয়ে জেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি জেলা পরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলাম বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সদর উপজেলার দুরাকুটি হাটে নিয়ে আসেন সেখানেও ভিড় জমায় পাওনাদাররা। তিন ঘন্টা ব্যাপি অবরুদ্ধ থাকার পর সদর থানা পুলিশ তাকে জনতার রোসানল থেকে উদ্ধার করে জেলা পরিষদ কার্যালয়ে পৌছে দেন।
চাকুরী প্রত্যশী ভেলাবাড়ির আবুল হোসেন জানান, তাকে পাট মন্ত্রনালয়ের কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকুরী দেয়ার নাম করে সাত লাখ টাকা হাতিয়ে নেন সেলিম হায়দার। নিয়োগপত্র দিলেও তার সত্যতা না পাওয়ায় টাকা ফেরত চান তিনি। এসময় তাকে জানে মেরে ফেলার হুমকী দেয়া হয়।
ওই এলাকার খায়রুল ইসলামকে বিদেশে পাঠানোর নাম করে সাত লাখ টাকা হাতিয়ে নেন সেলিম হায়দার। বাড়ি ভিটা বিক্রি করে সাত লাখ টাকা দেয়ার ৯ মাস অতিবাহিত হলেও তাকে বিদেশে পাঠানো হয় নি।
জিবন উন্নয়ন সংস্থা নামে হতদরিদ্রদের সহায়তা দেয়ার নাম করে জামানত স্বরুপ তিন শত করে টাকা আদায় করে আদিতমারী ও কালীগঞ্জ দুই উপজেলার কয়েক লাখ সদস্যের টাকা নিয়ে উধাও হয় সেলিম হায়দার। এ সংস্থায় জামানত দেয়া হতদরিদ্ররাও ভির জমান সেখানে।
জেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি জেলা পরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সেলিম হায়দার। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তাকে দুরাকুটি হাটে নেয়া হয়। অবশেষে পুলিশের মাধ্যমে সেলিম হায়দারকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নিকট পাঠানো হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মাহফুজ আলম জানান, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পাওনাদারদের সহ জেলা পরিষদ সদস্য সেলিম হায়দারকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জানান, অবরুদ্ধ হয়ে থাকলে সেটা ওই সদস্যের ব্যক্তিগত বিষয়। তবে এমন অবিযোগে কোন ভুক্তভুগি লিখিত কোন অভিযোগ দায়ের করেন নি বলেও জানান তিনি।