তিস্তা পাড়ের নির্মল হাওয়া, নৌকা বাইচ ও নৌকা ভ্রমন আনন্দ প্রিয় মানুষ কে ক্ষনিকের জন্য হলেও অন্য জগতে নিয়ে যায়। কেউ কেউ ডিঙ্গি নৌকা ভাড়া করে তিস্তা নদীর এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুড়ে বেড়ায়। তিস্তা সেতুর উত্তর প্রান্তে শিশুদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে নাগরদোলা, উপরে ওঠে নিচে নামা সহ বেশ কয়েকটি শিশু খেলার সামগ্রী। কিন্তু দক্ষিনে অর্থাৎ কাউনিয়া প্রান্তে শিশুদের জন্য এ ধরেনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় শিশুদের শুধু সেতুর উপর হাটা চলা করে মলিন মুখে বাড়ী ফিড়তে হয়। এছাড়াও তিস্তা সড়ক সেতুর নিরাপত্তার জন্য সেতুতে লাগানো বাতি গুলো রাতে ঠিকমতো জ্বলে না। এ কারনে বিনোদন প্রেমী মানুষদের সন্ধার পূর্বেই বাড়ীতে ফিরতে হয়। তা নাহলে ছিনতাইএর কবলে পরতে হয়। সব মিলে ঈদুলআযহার ৩য় দিনেও ছিল উপচে পড়া ভীড়।
তিস্তা সেতু পাড়ে ঘুড়তে আসা বিনোদন প্রেমী প্রভাষক আঃ সালাম, আলম ব্যাপারী জানান, তিস্তা সেতুর দুই প্রান্তে রেল ও সড়ক জনপদের সরকারী অনেক জায়গা রয়েছে এটিকে পর্যটন শিল্পের আওতায় এনে পিকনিক স্পট সহ বিনোদন পার্ক গড়ে তোলা হলে সরকারের যেমন রাজস্ব আয় হতো তেমনি এলাকার মানুষ নির্মল বিনোদন সুবিধা পেত। আনন্দের তেমন কিছু না থাকলেও ঈদের দিনে হাজার হাজার মানুষের পদভরে মুখরিত হয়ে ওঠে কাউনিয়ার তিস্তা সেতু এলাকা।