বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে সুজন মিয়াকে আটক করে পুলিশ। বগুড়া শহরের চকফরিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চকফরিদ এলাকার আবদুর রশিদের ছেলে সুজন মিয়া পেশায় রংমিস্ত্রি। মাত্র ২২ দিন আগে ফাতেমা আকতারকে বিয়ে করেন সুজন। ফাতেমার বাবার বাড়ি নাটোরের সিংড়া উপজেলায়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আছলাম আলী বলেন, সুজন মিয়ার বাবাসহ পরিবারের একাধিক সদস্য মানসিক রোগী। তবে সুজন মানসিকভাবে সুস্থ। নববিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে ঘুমাতে যান সুজন। রাতের কোনো এক সময় শোয়ার ঘরে থাকা চাকু দিয়ে স্ত্রীকে গলা কেটে খুন করেন। এরপর সেই চাকু দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। বিষয়টি টের পেয়ে সুজনের বৃদ্ধা দাদি ঘরে তালা দিয়ে সুজনকে আটকে রেখে প্রতিবেশীদের খবর দেন। পরে তাঁদের কাছ থেকে খবর পেয়ে আজ সকাল ৮ টার দিকে সেখানে যায় পুলিশ। ঘরের তালা খুলে দেখা যায়, ফাতেমার মৃতদেহ বিছানায় পড়ে রয়েছে। আর আত্মহত্যার চেষ্টাকারী সুজন মিয়া আহত অবস্থায় মৃতদেহের পাশে শুয়ে আছেন। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। সুজনকে গ্রেফতার করে চিকিৎসার জন্য একই হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরিদর্শক (তদন্ত) আছলাম আলী বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুজন তেমন কিছু বলেননি। হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে কিছু বোঝা যাচ্ছে না। বেলা একটা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়নি।