আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

জার্মানির বাজারে সৈয়দপুরের পাপোশ

শনিবার, ২ নভেম্বর ২০১৩, দুপুর ১১:০০

সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নে রামনাথপুর বহুমুখী নবায়ন সংঘ (আরবিএনএস) নামক এ পাপোশ কারখানাটি চলছে। ২৫ জন মহিলা নিয়ে প্রথমে তিন মাসের প্রশিক্ষণ দেয়া হয় পাপোশ তৈরির বিষয়ে। এরপর থেকে ওই পাপোশ কারখানায় প্রশিক্ষিত মহিলারা কাজ করছেন। এখন তারা স্বাবলম্বী। এখন তাদের সংসার জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য এসেছে। তাদের ছেলেমেয়েরা স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করছে। ঘরে টিন ও প্রয়োজনীয় মূল্যবান আসবাবপত্র উঠেছে। এদের একজন হলেন লক্ষ্মীরানী (২৬)।

তার বাড়ি বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের উত্তর সোনাখুলি গ্রামে। তার স্বামী পরীক্ষিত দাস পেশায় একজন জেলে। বিয়ের পর স্বামীর সামান্য রোজগারে সংসার চলত না তার। এ অবস্থায় এনজিও আরবিএনএসের মাধ্যমে ওই পাপোশ কারখানায় কাজের সুযোগ হয় তার। লক্ষ্মীরানী জানান, প্রতিদিন তারা একেকজন ১৫ থেকে ১৮টা পর্যন্ত পাপোশ তৈরি করতে পারেন ওই কারখানায়। প্রতিটি পাপোশ তৈরিতে মজুরি পান ১৪ টাকা। সে হিসেবে এখন তারা প্রত্যেক দিনে ২০০-২৫০ টাকা পর্যন্ত রোজগার করছেন। তিনি আরও জানান, এখন স্বামী ও তার প্রতিদিনের রোজগারে সংসারের দৈনন্দিন চাহিদা মিটিয়ে প্রতি মাসে বেশ কিছু টাকা সঞ্চয় হচ্ছে। এভাবে গত সাড়ে তিন বছরে তিনি ঘরে খড়ের বদলে টিন তুলেছেন। অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করছেন। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করাচ্ছেন। এখন আর তাদের সংসারে অভাব- অনটন নেই। লক্ষ্মীরানীর মতো পাপোশ কারখানায় কাজ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন সুমিত্রা দাস (২৬), আমিনা বেগম (৩৫), নূরনাহার (৩০) এবং মজিদা খাতুন (২৮)।

এরা সবাই দরিদ্র পরিবারের সদস্য। ওই সংস্থার কমিউনটি ফ্যাসিলেশন অফিসার নিতাই রায় জানান, সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নটি ছিল অবহেলিত একটি জনপদ। আশ্বিন- কার্তিক মাসে এ অঞ্চলের মানুষের কোন কাজ থাকে না। এদের না খেয়ে থাকতে হতো। তাই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির পক্ষ থেকে ওই ইউনিয়নের হতদরিদ্র পরিবারগুলোকে চিহ্নিত করা হয়। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা কেয়ার বাংলাদেশের অর্থানুকূল্যে বোতলাগাড়ীতে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ গ্রহণ করে। চিহ্নিত হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যদের আয়মূলক কাজের জন্য অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। এসব কর্মমুখী প্রতিষ্ঠানে এলাকার মানুষের কাজের সংস্থান হয়। তিনি জানান, পাপোশ কারখানাটিও এ ধরনের একটি উদ্যোগ। এতে ২৫ জন অভাবী নারী কাজ করছেন। হতদরিদ্র মানুষের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও জনসচেতনতা বাড়াতে কাজ করছে ওই সংস্থাটি। হতদরিদ্র পরিবারের নারীরা যাতে নিজের পথে দাঁড়াতে পারেন এ জন্য সব ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হচ্ছে। এতে সাফল্যের মুখ দেখছেন বোতলাগাড়ীর গ্রামীণ নারীরা। বর্তমানে এদের তৈরি পাপোশ জার্মানিতে রপ্তানি হচ্ছে। অন্যান্য দেশ থেকেও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। আশা করা যায়, এ পাপোশ অল্প সময়ের মধ্যে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied