আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: দিনাজপুরে ছিনতাইকৃত মালামাল উদ্ধারসহ ছিনতাইকারী চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার        জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে ছেলের বাঁধা ॥ পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন       নীলফামারীতে স্বামীর প্রথম বিয়ের খবরে নববধূ দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা ॥ স্বামী গ্রেপ্তার       রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে      

 width=
 

বঞ্চিত জনপদ

শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০১৩, দুপুর ০২:২৬

একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, এ চরের মোট জনগোষ্ঠী ৫ হাজার ৪০ জনের মধ্য হতদরিদ্র ও দরিদ্র কৃষক পরিবার হচ্ছে ৫শ' ৩৮। এসব দরিদ্র পরিবারের বিদ্যালয় গমন উপযোগী ১ হাজার ৮শ' শিশুর মধ্যে অধিকাংশ প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষারও সুযোগ পাচ্ছে না। অনেক শিশু বিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও অভাবের তাড়নায় তাদের লেখাপড়া শেষ করতে পারে না। মাঝপথেই ঝরে পড়ে। এই চরে দুইটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দু'টিতে রয়েছে প্রয়োজনীয় শিক্ষকের অভাব। এ ছাড়া শিক্ষকরা নিয়মিত উপস্থিত থাকে না। আবার উপস্থিত থাকলেও দায়সারাভাবে পাঠদানের কাজ সম্পন্ন করেন। সর্বোপরি বিদ্যালয় দু'টিতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায় ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয় যেতে আগ্রহী হয় না। সীমাহীন দারিদ্র্য কালাসোনার চরের শিশুদের স্কুলে যাওয়ার বয়সে সংসারের চাহিদা পূরণে নানা কাজে নিয়োজিত হতে হয়। পরিবারের জ্বালানি সংকট মেটাতে নদীতে ভেসে আসা চরে আটকা পড়া খড়ি কুড়ানো, পানি আনা, চাষাবাদ ও মাছ ধরার কাজে সহায়তা দিয়ে এখানকার শিশুরা পরিবারের দু'বেলা খাবার যোগাতে শিশুশ্রমে নিয়োজিত হতে বাধ্য হয়। ফলে স্কুলে নামমাত্র ভর্তি হলেও চরের শিশুরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে বা প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পায় না।

এ ছাড়া নিয়মিত বিদ্যালয়গামী শিশুদের দারিদ্র্যক্লিষ্ট পরিবারগুলোতে পারিবারিক পর্যায়ে শিক্ষার পরিবেশ না থাকায় তাদের লেখাপড়ায় কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হচ্ছে না। কালাসোনার চরে নদী তীরে খড়ি কুড়ানোরত শুকতারা (৮), দুলালী (৯) এবং তাসলিমা (৮) জানায়, তারা স্থানীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। পরিবারের অভাবের কারণে তাদের ইচ্ছে থাকা সত্বেও স্কুল ছাড়তে হয়েছে। প্রায় প্রতিদিন নদীর তীরে এসে ভেসে আসা জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে আসতে হয় তাদের। কারণ জ্বালানি কাঠ না হলে তাদের রান্না হবে না। এভাবে নানা কাজে নিয়োজিত হওয়ায় ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও তারা নিয়মিত স্কুল যেতে পারে না।এছাড়া এই চরে সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা বেসরকারি পর্যায়ের কোন চিকিৎসা কেন্দ্র ও চিকিৎসক না থাকায় শিশুদের নানা দুরারোগ্য রোগে ভুগে কষ্ট পেতে হয়। বিনোদনের কোন সুযোগ না থাকায় শিশু শ্রমে নিয়োজিত শিশুরা অমানবিক পরিবেশে জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied