আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

ঢাকা-পঞ্চগড় ট্রেন চালু, উচ্ছ্বাস ঠাকুরগাঁওয়েও

বৃহস্পতিবার, ১ নভেম্বর ২০১৮, রাত ১০:৩৯

 ডেস্ক: ঢাকা-দিনাজপুর রুটের আন্তঃনগর ট্রেন দুটি ঠাকুরগাঁও হয়ে পঞ্চগড় পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে; এর মধ্যে দিয়ে পূরণ হল এ অঞ্চলবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি।  রেলওয়ে জানিয়েছে, দিনাজপুরের পর ঠাকুরগাঁও, রুহিয়া, পীরগঞ্জ হয়ে পঞ্চগড়ে যাবে একতা এক্সপ্রেস ও দ্রুতযান এক্সপ্রেস। গত ২৩ অক্টোবর রেলের পশ্চিমাঞ্চলীয় মহাব্যবস্থাপক বরাবর পাঠানো রেলওয়ের ট্রাফিক ট্রান্সপোর্টেশন বিভাগের উপপরিচালক খালিদুন নেছা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, “ঢাকা-দিনাজপুরের মধ্যে চলাচলকারী দ্রুতযান এক্সপ্রেস এবং একতা এক্সপ্রেস ট্রেন একই ধরনের কোচ, কম্পোজিশনে লাল-সবুজ রংয়ে ইন্দোনেশিয়ান কোচ দিয়ে পরিচালনা করা হবে। ট্রেনগুলো তিনটি রেক দিয়ে চালানো হবে। এতে কোনো সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে না।” ঢাকা থেকে পঞ্চগড় পর্যন্ত ৫০৭ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলাদেশ রেলওয়ের সবচেয়ে দীর্ঘ এই রুটে এ মাসেই ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।  তবে এখনও উদ্বোধনের দিন ঠিক হয়নি জানিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মিহির কান্তি গুহ বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সময় দিলে উদ্বোধনের ডেট ঠিক করা হবে।” মিহির গুহ বলেন, “ঢাকা থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত দূরত্ব ৪০৫ কিলোমিটার। আর পঞ্চগড়ের দূরত্ব ৫০৭ কিলোমিটার।  পঞ্চগড় পর্যন্ত দূরত্ব অনেক বেশি। এজন্য একটা আলাদা রেক লাগবে। আমরা অ্যাডজাস্ট করে নতুন আরেকটা রেক ঠিক করেছি। পঞ্চগড় থেকে ট্রেন একেবারে ঢাকা পর্যন্ত চলে আসবে।” সরাসরি ঠাকুরগাঁও-ঢাকা রেলপথে আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। ২০১০ সালে ৯৮২ কোটি টাকা নির্মাণ খরচে পঞ্চগড় থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের ভোমরাদহ পর্যন্ত অবকাঠামো স্থাপনে দীর্ঘসূত্রতা পেরিয়ে এই কাজ শেষ হয় ছয় বছরের মাথায়।  তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ ছিল, এরপরও ‘অজ্ঞাত কারণে’ চালু হয়নি উত্তরবঙ্গের এই রুটের আন্তঃনগর ট্রেন সেবা।  গত বছর জুলাই মাসে পঞ্চগড়ে এসে শাটল ট্রেন উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। এরপরও আন্তঃনগর ট্রেন চালু না হওয়ায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন সাধারণ মানুষ।  তবে গত ২৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠাকুরগাঁও এসে আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা-পঞ্চগড়-ঢাকা রুটে আন্তঃনগর ট্রেন চালুর মধ্যে দিয়ে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবিপূরণের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, “ওই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি এই রুটে আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা। ওই দুটি জেলা থেকে যারা ঢাকা আসতে হলে দিনাজপুর এসে ট্রেনে চড়তে হয়। তাদের জন্য টিকেট কাটা একটু ডিফিকাল্ট এজন্য তাদের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের।” বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কাজী মো. রফিকুল আলম বলেন, এক সময় দিনাজপুর থেকে পঞ্চগড় পর্যন্ত মিটারগেজ রেললাইন চালু ছিল। তবে সম্প্রতি তা ডুয়েলগেজে উন্নীত করায় তা দিয়ে ব্রডগেজ ট্রেনও চলাচল করতে পারবে। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “ওই ট্রেন দুটো চালু হলে দুটি জেলার মানুষ সহজে ঢাকায় যাতায়াত করতে পারবে।  দুটি জেলার অর্থনীতির ওপরও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে, সবদিক থেকেই ভালো হবে। এছাড়া আমাদের রেলের আয় বাড়বে। দিনাজপুর পর্যন্ত আমাদের রেললাইন আছে। এখন দিনাজপুর থেকে পঞ্চগড় পর্যন্ত চলে যাবে।” দুটি নতুন আন্তঃনগর ট্রেন চালুর খবরে দুটি জেলার মানুষ উচ্ছ্বসিত বলে জানান সুশাসনের জন্য নাগরিক, সুজনের ঠাকুরগাঁও শাখার সাধারণ সম্পাদক আবদুল লতিফ।

মন্তব্য করুন


 

Link copied