ডেস্ক: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেনের রাজনীতিকে ছদ্মবেশী ও বিধ্বংসী বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বলেন, ‘ধ্বংসের পথে তাদের বিধ্বংসী রাজনীতি। ছদ্মবেশী, বিধ্বংসী যে রাজনীতি তারা করে, সেই বিধ্বংসী রাজনীতি ধ্বংসের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল।’
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেনের এক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় শনিবার দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে কাদের বলেন, ‘নির্বাচনের ইতিহাস বলে, যারা বয়কট করবে, তাদের কিন্তু জনবিচ্ছিন্নতা, রাজনৈতিক ভাগ্য অনিবার্য হয়ে গেল। বিএনপিকেও এ কথা বলি, গত সাধারণ নির্বাচনে জনমতের হাওয়াটা যদি তাদের অনুকূলে থাকত, তাহলে এর প্রভাবটা তাদের ফলে পড়ত। জনমত যেদিকে থাকে, নির্বাচনের ফল সেদিকেই টার্ন করবে, এটা নির্বাচনের ইতিহাস।’
অন্যতম বিরোধী দল বিএনপির বর্জনের মধ্যে উপজেলা নির্বাচন কেমন হবে- প্রশ্নে কাদের বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন একেবারে পারফেক্ট হবে, এটা আমি মনে করি না। পারফেক্ট বিষয়টি ভিন্ন বিষয়। কোনো বিষয়কে পারফেক্ট বলা ঠিক না, ভুলত্রুটি নিয়েই আমরা এগিয়ে যাই।’
‘গণতন্ত্রকে পুরোপুরি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার আগে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আমাদের অতিক্রম করতে হবে। এটা থাকবে এবং এটা নিয়ে এগোতে হবে। নির্বাচন করতে করতে এক সময় দেখা যাবে প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্র রূপ নিয়েছে।’
সক্রিয় রাজনীতিকদের বাদ দিয়ে ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে ব্যবসায়ী আতিকুল ইসলামকে বেছে নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আতিকুল হয়ত নেতা ছিলেন না, সমর্থক ছিলেন। আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন, অন্য কোনো দল কখনও করেননি।’
‘তিনি বিজিএমইএ নির্বাচন করতেন। সেখানেও আওয়ামী লীগ প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। মেয়র আনিসকেও তো মনোনয়ন দিয়েছিলাম, তিনিও তো আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন না।’
সিটি করপোরেশন নির্বাচন জাতীয় পার্টি ‘শক্তিশালী ভুমিকা’ রাখতে পারেনি বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার যে অঙ্গীকার করেছিল, সিটি নির্বাচনে সেটির কোনো প্রতিফলন ঘটেনি। বিরোধী দল যদি শক্তভাবে বিরোধিতা করত, তাহলে নির্বাচনটা আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হত। সংসদের ভেতরে ও বাইরের উভয় রাজনৈতিক দলকে আমরা শক্তিশালী দেখতে চাই।’