বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ শওকত আলী এ রায় দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত ৩ জনকে বেকসুর খালাস দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মালবাগডাঙ্গা গ্রামের নয়ন কর্মকার রবিদাস, সোনাপট্টি গ্রামের প্রশান্ত রবিদাস, চাকপাড়া গ্রামের নিতাইচন্দ্র রবিদাস, সুভাষ দাস (৪২) ও প্রশান্ত রবিদাস (২৪)। রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে নয়ন কুমার রবিদাস ও প্রশান্ত রবিদাস (২২) উপস্থিত ছিলেন। অন্যরা পলাতক রয়েছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত কৌশুলী আঞ্জুমান আরা বেগম মামলার নথি থেকে জানান, ২০১৫ সালের ১৪ জুন সদর উপজেলার মহারাজপুর মেলার মোড়ের একটি ডোবা থেকে পুলিশ সদর উপজেলার কালিনগর বাবলাবোনা গ্রামের মফিজুল ইসলামের মেয়ে আয়েশা খাতুনের (২০) মরদেহ উদ্ধার করে।
প্রথমে তার মৃত্যুর কারণ জানা না গেলেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ধর্ষণের পর হত্যার কথা উল্লেখ থাকায় ওই বছরের ১৫ আগস্ট সদর থানার এসআই শামীম আকতার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক সারোয়ার রহমান একই বছরের ১৪ ডিসেম্বর ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, আসামি নয়ন প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে আয়েশা খাতুনকে ১৩ জুন ডেকে সহযোগিদের নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।