আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

রংপুরে জামাই শষ্ঠি পূজা উদযাপন

রবিবার, ৯ জুন ২০১৯, দুপুর ০৩:২৩

সকাল ১০ টায় ষষ্ঠী পূজা শুরু হয় নগরীর পালপাড়া মদন মোহন ঠাকুর বাড়ি মন্দির। ১ ঘন্টা ব্যাপী জামাই শষ্ঠি পূজার কার্যক্রম চলে। এই পূজা বিভিন্ন মৌসুমি ফল ও ফুল দিয়ে করা হয়। বটগাছ ও পাইকড় গাছের নিচে পূজা করা হয়। সকল জামাই কে বরণ করে ভালো মন্দ খাবার ও নতুন কাপড় দিয়ে তাদের বরণ করা হয়। এ সময় মেয়েরা শুধ নিরামিশ খায়। পূজা উদযাপনের কয়েক জন আয়োজকরা জানান, গ্রাম ও শহরের সকল হিন্দু স¤প্রদায় শুভ জামাই ষষ্ঠীর দিন মা ষষ্টি দেবীকে আরাধনা করে। জামাই ও মেয়ে কে নিমন্ত্রণ দেয় ষষ্টীর দিন মন্দিরে মন্দিরে পূজো দেওয়া হয় জামাই ও মেয়ে কে ভাল কিছ জামা কাপড় প্রদান করে। অনেক পরিবারের জামাই ও মেয়ে বিদেশে থাকলে শ্বশুর শাশুড়ী আশির্বাদ পৌছিয়ে দেয় জামাই ও মেয়েকে।

ষষ্ঠী পূজোর উপকরণ গুলো হলো-ষষ্ঠী পুজোর দিন ব্রতীরা সকালে স্নান করে উপোস থেকে নতুন তাল পাখার ওপর হাড়ি ভাঙ্গা, আম সহ পাঁচ ফল আর ১০৮ টি দুর্বা বাঁধা আঁটি দিয়ে পূজার উপকরণের সঙ্গে রাখে। করম চা সহ পাঁচ সাত বা নয় রকমের ফল কেটে কাঁঠাল থালার ও পর সাজিয়ে পুজোর সামনে রাখা হয়। ধান এ পুজোর সমৃদ্ধির প্রতীক, বহু সন্তানের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং দুর্বা চিরসবুজ, চিরসতেজ বেঁচে থাকার ক্ষমতার অর্থে ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ দুর্বা হল দীর্ঘ জীবনের প্রতীক। শাশুড়ি-মেয়ে- জামাতার দীর্ঘায়ু কামনা করে ধান দুর্বা দিয়ে উলু ধ্বনি সহ বরণ করে। হাতে বেঁধে দেয় হলুদ সুতেয়া। প্রতিটি মেয়ে যেন সুখে-শান্তিতে তার দাম্পত্য জীবন কাটাতে পারে এজন্য জ্যৈষ্ঠ মাসে নতুন জামাই কে আদর করে বাড়িতে ডেকে এনে আম-দুধ খাইয়ে পরিতৃপ্ত করে। শ্বশুঢ়িরা মেয়ে জামাই কে নিয়ে মন্দিরে যান তাদের ভবিষ্যৎ মঙ্গল কামনার্থে। দুপুরে সাত রকমের ভাজা, শুক্তো, মুগের ডালের মুড়ি ঘন্ট, বিভিন্ন মাছের বাহারি রকমের পদ, কচি পাঁঠার ঝোল, চাটনি, দই-মিষ্টি, আম কাঁঠাল দিয়ে খাওয়ায়্ সকাল থেকে শ্বাশুড়ি ও মেয়েরা নিজেরা উপবাস থাকেন ও কেউ কেউ নিরামিশ খায়।

এই উৎসব টি সাধারণত বাঙ্গালি হিন্দু সমাজে মধ্যে দেখা যায়। কন্যার বিবাহের মাধ্যমে একটি পরিবারের সঙ্গে আর একটি পরিবারের যে সম্পর্ক স্থাপন করা হয় সেই সম্পর্ক কে সুদৃঢ় করাই এই জামাই ষষ্ঠীর উদ্দেশ্য । তাই এদিন মেয়ে-জামাইকে যেমন নেমন্তন্ন করা হয় তেমনি আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের ও ডাকা হয় । সকলে অন্ত রঙ্গ ভাবে মিলে মিশে মহাসমারোহে এই ধর্মীয় তথা সামাজিক উৎসব পালন করে ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, রংপুর পালপাড়া মদন মোহন ঠাকুর বাড়ি মন্দিরের সভাপতি ডাঃ নিখিলেন্দ্র সংকর গুহ রায়, সহ-সভাপতি প্রশান্ত কুমার দার্স, সাধারন সম্পাদক মনিন্দ্র নাথ দাস মনু, সহ-সাধারন সম্পাদক রতন দাস পাগু, কোষাধ্যক্ষ তপন কুমার ঢালী সদস্য অনিল দাস, বিবেক সরকার, প্রশান্ত পাল, কমল বনিক প্রমূখ।জামাই ও পরিবারের মঙ্গল ও দীঘায়ু কমানা করে হিন্দু পরিবারের মধ্যে এই উৎসব পালন করতে দেখা যায়।

মন্তব্য করুন


 

Link copied