আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: দিনাজপুরে ছিনতাইকৃত মালামাল উদ্ধারসহ ছিনতাইকারী চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার        জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে ছেলের বাঁধা ॥ পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন       নীলফামারীতে স্বামীর প্রথম বিয়ের খবরে নববধূ দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা ॥ স্বামী গ্রেপ্তার       রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে      

 width=
 

‘কেউ কি মানুষ খুন করে বেহেশতে পৌঁছে মেসেজ দিয়েছে?’

রবিবার, ৯ জুন ২০১৯, রাত ০৮:১২

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওআইসি সম্মেলনে আমার লিখিত বক্তব্যে অনেক কিছু ছিল না। আমি লিখিত বক্তব্যের বাইরেও অনেক কথা বলেছি। আমি বলেছি, ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে যদি কোনও দ্বন্দ্ব থাকে, কেন আমরা আলোচনা করে এসবের সমাধান করতে পারছি না? ওআইসির এ ব্যাপারে আরও উদ্যোগ নেওয়া দরকার। আমাদের সমস্যাগুলো যদি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারি, তাহলে আত্মঘাতী সংঘাত আর রক্তপাত হয় না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশেও মানুষ খুন করে খুনিরা বলে, এই তো আমরা বেহেশতের কাছে পৌঁছালাম। বেহেশতে কে পৌঁছাতে পেরেছে? যারা মানুষ খুন করেছে, তারা একজনও বেহেশতে পৌঁছাতে পেরেছে? এখন সোস্যাল মিডিয়ায় তো বহু মেসেজ দেয়, কেউ কি পাঠিয়েছে যে, ‘আমি মানুষ খুন করে এখন বেহেশতে বসে আঙুর ফল খাচ্ছি?’ দেখা যাচ্ছে, মুসলমানই মুসলমানদের হত্যা করছে।’

শেষ বিচার আল্লাহ করবেন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কে ভালো মুসলমান, কে ভালো মুসলমান না, কে সঠিক, কে সঠিক না, কে ভালো কাজ করছে, কে করছে না, তার বিচার করার দায়িত্ব আল্লাহ ও রাসুল আমাদের দেননি। কেন মানুষ আল্লাহর ক্ষমতা কেড়ে নেবে? কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, শেষ বিচার তিনি করবেন। সেখানে নিরীহ মানুষ মারলে বেহেশত পাওয়া যাবে, সেটা তো কোথাও লেখা নেই। আল্লাহ কি কাউকে মানুষ মারার ক্ষমতা দিয়েছেন?’

মুসলিম কান্ট্রির মধ্যেই খুনোখুনি হচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আত্মঘাতী হচ্ছি। লাভবান কে হচ্ছে? যারা অস্ত্র বানাচ্ছে, তারা। যারা অস্ত্র দিচ্ছে, তারা। ওআইসিকে বলেছি, মুসলমান মুসলমানের রক্ত নিচ্ছে। এটা ওআইসিকে বন্ধ করতে হবে। আল্লাহ ছাড়া কারও কাছে আমার বাবাও মাথানত করেননি, আমিও করবো না। যা সত্য তা-ই বলে যাবো।’

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৮ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত জাপান, সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ড সফর করেন। ১১ দিনের সফর শেষে শনিবার (৮ জুন) সকালে তিনি দেশে ফেরেন।

প্রধানমন্ত্রী তার ত্রিদেশীয় সফরের শুরুতে গত ২৮ মে জাপানের রাজধানী টোকিও যান। সেখানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের পর বাংলাদেশ-জাপানের মধ্যে ২৫০ কোটি ডলারের অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্স (ওডিএ) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

সফরের দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৩১ মে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের আমন্ত্রণে পবিত্র মক্কা নগরীতে অনুষ্ঠিত ১৪তম ওআইসি সম্মেলনে যোগ দেন। সৌদি সফরকালে তিনি মক্কায় পবিত্র ওমরাহ পালনসহ মদিনায় হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত করেন।

সৌদি আরব সফর শেষে ত্রিদেশীয় সফরের শেষ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচ দিনের সরকারি সফরে গত ৩ জুন ফিনল্যান্ড পৌঁছেন। ফিনল্যান্ডে অবস্থানকালে তিনি গত ৪ জুন দেশটির প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তোরের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর ৫ জুন তার সম্মানে অল ইউরোপীয় আওয়ামী লীগ ও ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেন তিনি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied