আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৯ মার্চ ২০২৪ ● ৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: রংপুরের আলু যাচ্ছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে       গ্রাহকের ৫০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও পোস্টমাস্টার!       চার ঘণ্টা পর উত্তরবঙ্গের সাথে ঢাকার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক       ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন       রংপুরে মিস্টি ও সেমাই কারখানায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা      

 width=
 

চুরি-ডাকাতি হলে বিচার হয়, আর মানুষ হত্যা করলে বিচার হবে না? -আসাদুজ্জামান নুর

বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১২, বিকাল ০৭:৪৮

তাহমিন হক ববি, নীলফামারী থেকে॥ নীলফামারী ২ সদর আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, পকেট মারলে বিচার হয়,চুরি করলে বি

স্মৃতি অম্লান চত্বরে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা স্থপতি জিএম রাজ্জাক,জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক,জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জয়নাল আবেদীন,রামেন্দ্র বর্ধন,শাহিদ মাহমুদ,অক্ষয় কুমার রায়,মশফিকুল ইসলাম,রাবেয়া আলীম,হাফিজুর রশিদ,কামরুল ইসলাম,দিপক চক্রবর্তী,আরিফা সুলতানা,তপন কুমার রায় ,আমজাদহোসেন প্রমুখ। অপর দিকে এই দিবসটি পালনে মুক্তিযোদ্ধা জনতার সমাবেশে জেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জয়নাল অবেদীন বলেন জামায়াত শিবির কে প্রতিহত করতে প্রয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা আবারো মাঠে নামবে। মুক্ত আকাশে মুক্ত বিহঙ্গের মতো হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা জনতার বাঁধভাঙ্গা আনন্দ-উচ্ছ্বাস, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত স¤পন্ন করে রাজাকার ও কলঙ্কমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার ১৩ ডিসেম্বর নীলফামারী জেলা শহরে পালন করা হলো পাক হানাদারমুক্ত দিবস। পরিস্থিতি এমনটাই ছিল যে একাত্তরের মতোই জেগে উঠেছিল এ জেলার আপামর ছাত্র জনতা। আর যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে সৃষ্টি হয় গণজাগরণ। বিরোধী দলের ডাকা অর্ধ দিবসের হরতাল ও শীত কুয়াশা উপেক্ষা করে সকাল থেকে হাজারো মানুষজন শহরে জড়ো হতে থাকে। এ যেন ছিল নতুন প্রজন্মের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস । বিজয়ের আনন্দে মাতোয়ারা হতে নীলফামারী পথে পথে নেমে আসে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা। তাদের চোখেমুখে যেমন ছিল বিজয়ের আনন্দ। ঠিক তেমনি ছিল জামায়াত শিবিরে রাজনীতি বন্ধ সহ যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে ঘৃণা-ধিক্কার আর বিচারের মাধ্যমে দ্রুত ফাঁসির দাবি। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা ইউনিট -মুক্তিযোদ্ধা জনতার ব্যানারে ,জেলা আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠন সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে দিনটি পালন করে। মুক্ত দিবসের র‌্যালী গুলো একত্র হয়ে শহরময় দীর্ঘ সারিতে পরিণত হয়। মুক্তিযোদ্ধা জনতার র‌্যালীতে নেতৃত্বে থাকেন জেলা প্রশাসক আব্দুল মজিদ, পুলিশ সুপার আলমগীর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জয়নাল আবেদীন। জেলা মুক্তিযোদ্ধা অফিস থেকে র‌্যালী বের হবার পূর্বেই এখানে বক্তব্য প্রদান করেন তারা। জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জয়নাল আবেদীন তার বক্তব্যে বলেন যারা দেশ স্বাধীনের বিরোধীরা করেছিল তারা আবার মাথা চারা দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। তাই তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের আবারো অস্ত্র হাতে তুলে জামায়াত শিবির প্রতিহত করার আহবান জানান। অপর দিকে জেলা আওয়ামী লীগের র‌্যালীতে নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক বিষয়ের সম্পাদক নীলফামারী সদর আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নুর। প্রায় সব কর্মসূচির মূল সুর এবং কেন্দ্রবিন্দু ছিল একটি। সেই সাথে রাস্তাঘাট, অফিস-আদালত, বাসাবাড়িতে পত পত করে উড়েছে স্বাধীন বাংলার পতাকা। এ ছাড়া ছোট ছোট কাগজ ও কাপড়ের তৈরি পতাকা হাতে কিংবা বুকে-পিঠে লাগিয়ে শিশু-কিশোররা বেরিয়েছিল বাইরে। কেউ কেউ মুখে এঁকেছিল লাল-সবুজ পতাকা। দেশ স্বাধীকার ৪০ বছর পর এবারই প্রথম নীলফামারী জেলা শহর পাক হানাদার মুক্ত দিবসে হাজারো মানুষের অংশ গ্রহণ। দেখে মনে হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শাণিত নতুন প্রজন্মের সাহসী পথচলা। পথে পথে পুলিশের বাদ্যযন্ত্র বিভিন্ন ব্যান্ড দলের মুক্তিযুদ্ধের গানের সুরের মূর্ছনা ছড়িয়ে ছিল। সকাল ১০ টা থেকে থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত টানা ৪ ঘণ্টা ছিল জেলা শহরটি পাক হানাদার মুক্ত দিবসের উল্লাস। অপর দিকে হানাদার মুক্ত দিবস সহ দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে নীলফামারী বড় মাঠে বিকালে সচেতন নাগরিক কমিটি মুক্তিযোদ্ধা ও যুব সমাবেশ করে। এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান এবং মুক্তিযুদ্ধের গান পরিবেশ করা হয়। উল্লেখ যে ১৯৭১ ইং সনে ছয় থানা নিয়ে নীলফামারী ছিল একটি মহকুমা শহর। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে নীলফামারীর অগণিত ছাত্র-জনতা ও সাধারণ মানুষ স্বাধীনতার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রাম শুরু করেছিল। নীলফামারী ৬নং সেক্টরের অধীন ছিল এবং সেক্টর কমান্ডার ছিল খাদেমুল বাশার। যুদ্ধ ইতর

অনেক মুক্তিযোদ্ধা আহত ও শহীদ হন। নীলফামারী মহকুমার সৈয়দপুর, ডোমার, ডিমলা জলঢাকা ও সদর থানায় অনেক নিরীহ সাধারণ মানুষকে পাকসেনারা নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে পাক সেনারা পিছু হটতে শুরু করে।চারদিক থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে ১২ ডিসেম্বর রাতে পাক-হানাদার বাহিনী নীলফামারী শহর ছেড়ে আশ্রয় নেয় সৈয়দপুর সেনানিবাসে। ১৩ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় মুক্তিযোদ্ধারা শহরে প্রবেশ করলে রাস্তায় নেমে আসে সাধারণ মানুষ। চলতে থাকে মুক্তিযোদ্ধা-জনতার বিজয় উল্লাস। এসময় স্থানীয় চৌরঙ্গী মোড়ে উত্তোলন করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।

মন্তব্য করুন


 

Link copied