বিশেষ প্রতিনিধি: মল্লিকা রানী(১৮) পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল। কেন সে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হলো সে কথাও লিখে যায়নি। অথচ তার দুচোখ ভরা স্বপ্ন ছিল সে নাসিং এ লিখাপড়া করে মানবসেবা করবে। মা মেয়ের অভাবী সংসারে সুখের সেই স্বপ্ন তার স্বপ্নই থেকে গেল যেন। মল্লিকার আতামহত্যা এলাকাবাসীকে শোকের সাগরে ভাসিয়েছে। এলাকার কোন ব্যাক্তি তার এই মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ি ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রাম। এই গ্রামের মৃত বীরেন্দ্র নাথ রায়ের মেয়ে মল্লিকা। মঙ্গলবার রাতে সে নিজ বাড়ীর ঘরে আতœহত্যা করে। গয়াবাড়ি স্কুল এন্ড কলেজ হতে চলতি বছরে এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করার পর অপেক্ষা করছি নার্সিং এ ভর্তি হবে। এ জন্য প্রস্তুতিও নিয়েছিল সে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে,মল্লিকার চার বোনের মধ্যে তিন বোনের বিয়ে হয়ে স্বামীর বাড়ীতে সংসার করছে। বাবার রেখে যাওয়া একমাত্র ভিটাবাড়িতে মাকে নিয়ে থাকতো মল্লিকা। মা কায়িক শ্রমিকের কাজ করতো আর মল্লিকা ছোট বাচ্চাদের প্রাইভেট পড়াতো। এই আয়ে চলতো সংসার। মায়ের ছিল বিধবাভাতা কার্ড।
গয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সামসুল হক বলেন, ওই পরিবারকে সব সময় সাহার্য সহযোগীতা করা হতো। ভিজিএফ কার্ড ছাড়াও ওর মায়ের বিধবাভাতার কার্ডও করে দেয়া হয়। মেয়েটি টিউশনি করতো। নাসিং এ ভর্তি হবে বলে সহযোগীতাও চেয়েছিল। আমরা সহযোগীতা করার আশ্বাসও দিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে সে কেন আত্নহত্যা করলো সেটি রহস্যই থেকে গেল।
ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা ও বুধবার জেলার মর্গে লাশের ময়না তদন্ত করা হয়েছে।