রংপুর মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশকে উত্তর ও দক্ষিণ নামে দুইটি ইউনিটকে ভাগ করা হয়েছে। নগরীর ২০টি পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ চেকপোষ্ট বসিয়ে চালকের বৈধতা, গাড়ীর লাইসেন্স, হেলমেট, ইন্স্যুরেন্স ও নম্বরবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে। গত এক বছরে ই-ট্রাফিকিং এর মাধ্যমে ১ কোটি ৭৬ লক্ষ ৯৯ হাজার ৮শত টাকা জরিমানা আদায় ও ৫৬ হাজার ৪৮৭ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এক বছর পুর্তিতে ট্রাফিক পুলিশের এমন সাফল্যে তাদের সাধুবাদ জানিয়েছে নগরবাসী।
জানা গেছে, নগরীতে যানজট নিরসন, ফুটপাত, জেব্রা ক্রসিং, ওভারব্রীজ দিয়ে পথচারীদের দিয়ে চলাচল, সড়কে চলার সময় মোবাইলে কথা না বলাসহ নানা রকম কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশ।
ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১ বছরে কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আব্দুল আলীম মাহমুদের কাছ থেকে উত্তর ট্রাফিক ইউনিট ৯বার ও দক্ষিণ ট্রাফিক ইউনিট ২বারসহ মোট ১১ বার পেয়েছে পুরুস্কার। এর মধ্যে উত্তর ট্রাফিক সার্জেন্ট বায়েজীদ বোস্তামী ৫ বার, রুহুল আমিন দুইবার ,পরাগ রঞ্জন দেব ২ বার ও দক্ষিণের ট্রাফিক সাজেন্ট গোলম আজম পুরুস্কার অর্জন করেন। ফলে সীমিত জনবল ও নানা সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে ট্রাফিক পুলিশ।
এ ব্যাপারে আরপিএমপির ট্রাফিক ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন বলেন, সড়কে চালকগণ নিজের এবং যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো বন্ধ করতে হবে। তিনি আরোও বলেন, শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট যেমন আত্মতৃপ্তির, তেমনি কর্মস্পৃহা বাড়ানোর তাগিদপত্রও বটে। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আব্দুল আলীম মাহমুদ আমাদের কাজের মূল অনুপ্রেরণা।
রংপুর মেট্রোপলিন সহকারি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক বিভাগ) ফরহাদ ইমরুল কায়েস বলেন, মোট ৮৪ জন জনবল ও নানা সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে ট্রাফিক পুলিশ এগিয়ে চলছে। সড়কে নিরাপত্তা, চেকপোষ্ট বসিয়ে চালকের বৈধতা, গাড়ীর লাইসেন্স, হেলমেট, ইন্স্যুরেন্স ও নম্বরবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান ও নগরীতে যানজট নিরসনের কাজ করছে। যা অব্যাহত রয়েছে।