বিশেষ প্রতিনিধি॥ ভারতের সঙ্গে সীমান্ত এলাকার তারকাটা বেড়া সংলগ্ল এলাকায় সাধারন মানুষজনকে চলাচল না করার আহবান জানিয়েছে নীলফামারীর জেলা প্রশাসন ও ৫৬ বিজিবি। অবৈধ অনুপ্রবেশ, চোলাচালান কর্মকান্ড প্রতিহত করতে সীমান্ত এলাকায় নজরদারীও শুরু করা হয়েছে।
জানা যায়, ওপারে ভারতের সীমান্ত এলাকায় সীমান্তরী বাহিনী বিএসএফ টহল জোড়দার করেছে। সীমান্ত এলাকায় ভারত রেড এ্যালার্ট জারি করেছে। ফলে বিভিন্ন সীমান্তে তারকাটা বেড়ার কাছাকাছি কোন মানুষ দেখলে বিএসএফ গুলি বর্ষন করছে। সম্পতি পঞ্চগড় ,ঠাকুরগাঁও,লালমনিরহাট ,নওগাঁ সহ বিভিন্ন সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী নাগরিক প্রাণ হারায়।
নীলফামারী সীমান্তও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে প্রতিবছরই ভারত সরকার সীমান্ত সিল করে থাকে। এবারো ভারতের উত্তরবঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গসহ বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন রাজ্যগুলোর সড়ক ও রেলপথসহ বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টে অতিরিক্ত সৈন্য ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী জানায়, নীলফামারীর প্রায় ৫০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে ডোমার ও ডিমলা উপজেলার। সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিকদের সীমান্ত এলাকায় তারাকাটা এলাকায় যেতে নিষেধ ও তারকাটা কেটে ফেলার মতো ঝুঁকি কাজ না করার জন্য সীমান্ত এলাকাবাসীকে সর্তক করা হয়েছে। এ জন্য সীমান্ত এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি সহ সচেতন ব্যাক্তিদের সহযোগীতা কামনা করা হয়। পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারাও এ ব্যাপারে জনসচেতনার জন্য প্রচারনা করছে।জেলা প্রশাসক আরো জানান, সীমান্তে শান্তি,সুরক্ষা বজায় রাখার জন্য আমাদের প্রশাসনের জোড়ালো কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
অপর দিকে ভারত সীমান্তবর্তী গ্রামবাসী সহ এলাকাবাসীর প্রতি কোন কারণেই সীমান্ত এলাকায় ঘোরাফেরা ও চলাচল না করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে বিজিবি। সীমান্তে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ভারত সীমান্ত এলাকায় জোরদার করা হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি।
নীলফামারী ব্যাটালিয়ন (৫৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ মামুনুল হক জানান আমারা চাইনা সীমান্তে কোন অপ্রীতিকরন ঘটনা সৃস্টি হউক। তাই সীমান্তবাসী কোন ভাবেই সীমান্ত এলাকার তারকাটা বেড়া সংলগ্ন এলাকায় যেন কেউ না যায় সে জন্য জোড়ালো ভাবে প্রচারনা করা হয়েছে।