বুধবার(১৪ মে) রাত সাড়ে ৭টার দিকে লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সন্দেহবশত নিজেই করোনাভাইরাস পরীক্ষার আগ্রহ প্রকাশ করলে গত (১০ মে) পাটগ্রাম ও সদর হাসপাতালের ৭জনের নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেল কলেজের লেপ্রোলজি বিভাগের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। পিসিআর ল্যাব থেকে আজ ৭জনের মধ্যে পাটগ্রামের চিকিৎসক ও সদর হাসপাতালের স্টাফ শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। শনাক্ত হওয়ার পর তাদের চিকিৎসা নিতে জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও এ জেলায় গাজীপুর ফেরত করোনা আক্রান্ত এক যুবকের সংস্পর্শে আসা পরিবারের পাঁচ সদস্য নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। জেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত ওই যুবক গত ১৮ এপ্রিল রাত থেকে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন। এছাড়া আক্রান্তের তালিকায় আছেন ওই রোগীর সংস্পর্শে আসা আদিতমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের স্টাফ নার্স (৪৬), হাসপাতালের যক্ষ্মা ও কুষ্ঠ রোগ নিয়ন্ত্রণ সহকারী (৩০)। এছাড়া নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ ফেরত আরও একজন। হাতীবান্ধা উপজেলায় এক নারীর পজিটিভ আসে। গত সোমবার (১১ মে) কোনো উপসর্গ ছাড়াই লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে এক স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তিনিও বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট ১৬ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হলো। বাকীরা কেউ করোনা ওয়ার্ডে কেউ হোম আইসলোশনে চিকিৎসাধিন রয়েছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৩জন, আদিতমারীতে ৯জন, হাতীবান্ধায় ১জন ও পাটগ্রাম উপজেলায় চিকিৎসকসহ ৩জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। জেলায় এই প্রথম কোন চিকিৎসক করোনা শনাক্ত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।