আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আলোর মুখ দেখতে বসেছে

কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আলোর মুখ দেখতে বসেছে

 width=
 
শিরোনাম: রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর       কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি      

 width=
 

আপনি না থাকলে দেশ চালাবে কে- প্রধানমন্ত্রীকে রাঙ্গা

বুধবার, ১০ জুন ২০২০, রাত ০৯:৩৯

বুধবার (১০ জুন) জাতীয় সংসদের অষ্টম অধিবেশনের শুরুর দিনে মসিউর রহমান রাঙ্গা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরাসরি সংসদে না এসে ভার্চুয়াল ব্যবস্থাপনায় নিজের বাসভবনে বসে সংসদের কার্যক্রম এবং অংশ নেওয়ার অনুরোধ করেন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র, নিউজিল্যান্ড এবং কানাডায় এ ব্যবস্থাপনা শুরু হয়েছে উল্লেখ করে মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘আমি যুক্তরাষ্ট্র, নিউজিল্যান্ড ও কানাডা এই তিনটি দেশের কথা জানি। তারা ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পার্লামেন্ট পরিচালনা করছে। তাদের অনেকেই সংসদে আসছেন না। সংসদ সদস্য হিসেবে আমাদের সংসদে আসতে অসুবিধা নেই। কিন্তু জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি সংসদে না এসে যদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাড়িতে থেকে কথা বলতেন, আমরা নিশ্চিত হতাম।’

একইসঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করার সূত্র ধরে দাবি নিয়ে কথা বলছেন উল্লেখ করে রাঙ্গা বলেন, ‘দেশের যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে, এগুলো কোনও না কোনও একদিন আমরা করতে পারবো। কিন্তু উনি (শেখ হাসিনা) না থাকলে আমাদের সবার জন্য... একটা অসুবিধা বোধ করি, দেশটা চালাবে কে?’

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকার দরকার নেই। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যাকে প্রয়োজন রয়েছে। আপনাকে আমি অনুরোধ করবো, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, যদি সম্ভব হয় আপনি বাসা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই পার্লামেন্টে অংশগ্রহণ করুন।’

পরে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মসিউর রহমান রাঙ্গার এই প্রস্তাব নাকচ করে দেন। নিজের জীবন নিয়ে কোনও চিন্তা করেন না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জন্ম যখন হয়েছে মরতেই হবে। তাই গুলি খেয়ে মরি, বোমা খেয়ে মরি, করোনাভাইরাসে মরি, অসুস্থ হয়ে মরি। এখন কথা বলতে বলতেও মরে যেতে পারি। মৃত্যু যখন অবধারিত, তখন মৃত্যুকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমি ভয় কখনও পাইনি, পাবো না। আল্লাহ জীবন দিয়েছে, জীবন আল্লাহ একদিন নিয়ে যাবে— এটাই আমি বিশ্বাস করি। মানুষকে কিছু কাজ দেয় সেই কাজটুকু করতে হবে। আল্লাহর লিখিত আমার ওপর যে দায়িত্ব অর্পণ করেছে, যতক্ষণ এই কাজটুকু শেষ না হবে, ততক্ষণ কাজ করে যাবো। কাজ শেষে আমিও চলে যাবো। এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। আমি এখানে (বাংলাদেশে) বেঁচে থাকার জন্য আসিনি। জীবনটা বাংলার মানুষের জন্য বিলিয়ে দিতে এসেছি। এখানে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ভয়ের কী আছে? জীবনের মায়া করলে কিংবা ভীত হলে ৭৫-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তিনি দেশে আসতেন না বলেও এ সময় মন্তব্য করেন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied