আসলে মানুষটি যে কোনও ভালো উদ্দেশ্যও থাকতে পারে তা কিন্তু আমরা মনেই করি না। এই সমস্যা আরও বেশি হয় ব্রেকআপের পর। কাউকে আপনি মন থেকে ভালোবেসেছিলেন, বিশ্বাস করে মনের কথা বলেছিলেন কিন্তু পরবর্তীতে তিনিই আবার আপনার বিশ্বাস ভেঙেছেন। তখন মনে হয়, অনেক হয়েছে আর নয়। এই মনের দরজা বন্ধ করলাম। কিন্তু জানেন কি, এই ধারণা কত ভুল? বিশ্বাস না করলে আপনি লোক চিনবেন কী করে? বরং ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা এক্ষেত্রে অনেক বেশি। আপনার এই মনের রোগের নাম পিস্তানথ্রোফোবিয়া।
যে কারণে এই সমস্যা হতে পারে: কাউকে বিশ্বাস করতে না পারা থেকেই এই সমস্যার তৈরি হয়। ধরুন এই মুহূর্তে আপনি আবার নতুন করে প্রেমে পড়েছেন। হঠাৎ দেখলেন আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকার ফোন ব্যস্ত। এবার আপনি হয়তো ভাবলেন অন্য কারো সঙ্গে প্রেম করছে। সঙ্গে সঙ্গেই তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম চেক করে দেখলেন। এমনকী বারবার কোনো ছবির কমেন্টস পড়ে বোঝার চেষ্টা করছেন কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায় কিনা। এখান থেকেই পরে শুরু হয় বিপত্তি।
সবসময় প্রমাণ চাইবেন না: সঙ্গীকে বিশ্বাস করতে শিখুন। সংশয়, অবিশ্বাস কোনো সম্পর্কেই কাম্য নয়। এখান থেকেই পরবর্তীতে পিস্তানথ্রোফোবিয়া শুরু হয়।
সামাজিক মাধ্যম: সামাজিক মাধ্যম দিয়ে কোনও মানুষকে বিচার করবেন না। কারণ সত্য-মিথ্যা সামাজিক মাধ্যম দিয়ে বোঝা যায় না। এছাড়াও অতিরিক্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার আপনাকে অন্যদের থেকে দূরে সরিয়ে দিতে পারে।
অযথা খারাপ চিন্তা করবেন না: সবসময় খারাপ চিন্তা করার কোনো মানে নেই। আমার সঙ্গেই এরকম হতে পারে, আমার সঙ্গেই আমার প্রেমিক/প্রেমিকা খারাপ কোনো ব্যবহার করতে পারে সবসময় এরকম ভাববেন না। অতিরিক্ত আশা কখনই রাখবেন না।