আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

প্রাথমিকে আসছে ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ; নারীদের যোগ্যতা হতে হবে স্নাতক

মঙ্গলবার, ৭ জুলাই ২০২০, সকাল ০৮:৩৫

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম আল হোসেন বলেন, ‘নতুন জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর প্রাক-প্রাথমিক স্তরের জন্য ২৬ হাজার ১৬৩টি সহকারী শিক্ষকের পদ সৃজন করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। সেই প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। এই পদগুলো এবং বিদ্যালয়গুলোতে শূন্য থাকা সহকারী শিক্ষকের পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। আমরা চেয়েছিলাম চলতি মাসেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে। কিন্তু করোনার কথাও চিন্তা করছি। তবে এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। মামলার কারণে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর সর্বশেষ ২০১৮ সালে ১৮ হাজার ১৪৭ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়ার পর প্রতিটি উপজেলা থেকে শূন্য পদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। প্রতিদিনই শূন্য পদের তালিকা এসে অধিদপ্তরে জমা হচ্ছে। শূন্য পদের সংখ্যা ১৫ হাজার হতে পারে। এ ছাড়া নতুন সৃজন করা প্রায় ২৬ হাজার পদ রয়েছে। তাই সব মিলিয়ে এবার প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, ‘আমরা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে চলতি মাসে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। অনলাইনে আবেদন করলেও যদি ২৫ লাখ প্রার্থী আবেদন করে তাদের নানা কারণে বাইরে বের হতে হবে। তাই করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে আগামী মাসে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে। আমরা চলতি মাসেই সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি।’

মহাপরিচালক আরো বলেন, ‘২৬ হাজার ১৬৩ পদ সৃজন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সাত থেকে আট হাজার সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়েছে। এ ছাড়া চলতি মাসেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের চলতি দায়িত্ব দেওয়া শুরু হবে। এতে আরো সাত-আট হাজার সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হবে। ফলে সব মিলিয়ে ৪০ হাজারের কাছাকাছি পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হতে পারে।’

জানা যায়, ২০১৮ সালের শিক্ষক নিয়োগে মৌখিক পরীক্ষা দেন প্রায় ৫৫ হাজার প্রার্থী। তাঁদের মধ্য থেকে ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ না হওয়া ৩৭ হাজার প্রার্থী প্যানেলের মাধ্যমে তাঁদের নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, ‘করোনাকালে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা দুরূহ। আমরা যেহেতু লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি, তাই আগে আমাদের নিয়োগ দেওয়া হোক।’

মন্তব্য করুন


 

Link copied