স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ অবশেষে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের মির্জাগঞ্জ ময়দান পাড়া এলাকার চাতাল ব্যবসায়ী মতিয়ার রহমান দুলুর বাড়ির সকলকে অজ্ঞান করে নয় লাখ ২৫ হাজার টাকা চুরির রহস্য উৎঘাটন করেছে পুলিশ। পাঁচ মাস পর ওই চুরির ঘটনার গতকাল বুধবার(২৬ আগষ্ট/২০২০) রাতে মূল পরিকল্পনাকারী ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শিংগিয়া এলাকার তমিজ উদ্দিনের ছেলে সাজ্জাদ হোসেনকে(৩৫) তার বাড়ি হতে ডোমার থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। তাকে গ্রেফতারে নেতৃত্ব দেন ডোমার থানার পরিদর্শক বিশ্বদেব রায় ও এসআই আজম প্রধান সহ পুলিশ সদস্যরা।
গ্রেফতারকৃত সাজ্জাদ সম্পর্কে মতিয়ার রহমান দুলুর খালাতো ভাই। সাজ্জাদ চোরদের সকল তথ্য দেয় ও নিজেও সরাসরি চুরিতে অংশগ্রহণ করেছিল বলে আজ বৃহস্পতিবার(২৭ আগষ্ট/২০২০) দুপুরে নীলফামারীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। জবাববন্দী শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডোমার থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান।
উল্লেখ যে, চলতি বছরের ১৮ মার্চ দুপুরে সাজ্জাদ বেড়াতে আসে মির্জাগঞ্জ এলাকার খালাতো ভাই মতিয়ার রহমান দুলুর বাড়িতে। সন্ধ্যার দিকে সাজ্জাদ রান্না ঘরে গিয়ে খাবারের সাথে ঘুমের ঔষুধ মিশিয়ে দেয়। জরুরী কাজ আছে বলে রাতের খাবার না খেয়েই দুলুর বাড়ি হতে বেরিয়ে যায়। এরপর রাত ১১টায় সাজ্জাদ আবার দুলুর বাড়িতে ফিরে আসে। দুলুর বাড়ির সবাই ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে ে সাজ্জাদ তার সহযোগী চোরদের দুলুর বাড়িতে প্রবেশ করায়। সাজ্জাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার নুরুজ্জামান(৪০), আবু তাহের(৩৬), আটোয়ারী উপজেলার বিপুল ইসলাম(৩৬), দেবীগঞ্জ উপজেলার সেলিম (৩৯), হাবিবুর রহমান (৪২), ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শাহিনুর (৩২) সহ ছয় জন দুলুর বাড়িতে প্রবেশ করে ঘুমন্ত সদস্যদের তারা চেতনানাশক স্প্রে করে।
পরে ঘরের স্টিলের আলমিরা ভেঙে ধান বিক্রির নয় লাখ ২৫ হাজার টাকা চুরি করে পালিয়ে যায়। এরপর দেবীগঞ্জ উপজেলার ধুলাঝাড়ি এলাকায় তারা টাকা ভাগাভাগি করে নেয়।