আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

রোকেয়ার নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যের শিকার নারী শিক্ষকরা!

শুক্রবার, ২৮ আগস্ট ২০২০, বিকাল ০৫:০৭

 বেরোবি প্রতিনিধি: নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের নামে প্রতিষ্ঠিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) বিভাগীয় প্রধান নিয়োগে অনিয়ম এবং শিক্ষাছুটির ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব শর্তে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন নারী শিক্ষকরা। সম্প্রতি এক নারী শিক্ষকের শিক্ষাছুটির ছাড়পত্রের জন্য ডরমেটরি ছাড়ার অভূতপূর্ব শর্ত আরোপ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যা ইতোপূর্বে কোন শিক্ষকের ক্ষেত্রে আরোপ করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। করোনার এই আপদকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন ব্যতিক্রম ও অভূতপূর্ব শর্ত মানবিকতারও লঙ্ঘন বলে মনে করছেন অনেকে। অভিযোগ রয়েছে, এর আগেও গণযোগযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নিয়োগে বৈষম্যের শিকার হন আরেক নারী শিক্ষক। বিভাগীয় প্রধান নিয়োগে সবাইকে বিধি মেনে তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেয়া হলেও এই নারী শিক্ষকের ক্ষেত্রে বিধির কোন তোয়াক্কাই করা হয়নি। বিধি লঙ্ঘন করে ওই নারী শিক্ষককে সংবিধি অনুযায়ী দুই বছরের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়। এমন নিয়োগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও নারীর প্রতি অবিচার উল্লেখ করে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। নারী শিক্ষকদের ক্ষেত্রেই ডরমেটরি ছাড়ার এমন অভূতপূর্ব শর্ত এবং বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ আইনের লঙ্ঘনকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষকদের সাথে বৈষম্য করা হচ্ছে বলে ক্যাম্পাসের ভিতরে-বাইরে এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সমালোচনার ঝড়। জানা যায়, গত ১৮ জুলাই অধ্যায়ন ছুটির জন্য আবেদন করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক মীর তামান্না সিদ্দিকা। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যায়ন ছুটি কমিটি সভার সুপারিশ এবং পরবর্তী সিন্ডিকেট সভার অনুমোদন সাপেক্ষে ০১ (এক) বছরের জন্য শিক্ষাছুটি মঞ্জুর করা হয়। ছুটি মঞ্জুরের যে অফিস আদেশ প্রদান করা হয়েছে সেখানে নয়টি শর্ত আরোপ করা হয়েছে। নয়টি শর্তের মধ্যে ৬ (ছয়) নং শর্তে বলা হয়েছে- ‘আপনার নামে বরাদ্দকৃত ডরমেটরি ফ্লাট ছাড়পত্র নেয়ার পূর্বেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বুঝাইয়া দিতে হইবে। এই শর্তটি শুধু ওই নারী শিক্ষকের জন্যই আরোপ করা হয়েছে। এর আগে যারা শিক্ষাছুটিতে গেছেন কিংবা এখনো শিক্ষাছুটিতে রয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে এমন কোন শর্ত আরোপ করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে ডরমেটরিতে রয়েছেন এমন তিনজন শিক্ষক শিক্ষাছুটিতে রয়েছে। তিনজন শিক্ষকই শিক্ষাছুটিতে রয়েছেন পাশাপাশি তারা ডরমেটরিতেও অবস্থান করছেন। এছাড়াও এর আগে যারা ডরমেটরিতে থাকা অবস্থায় শিক্ষাছুটি ভোগ করেছেন তাদের কারো ক্ষেত্রেই এমন কোন শর্তই আরোপ করা হয়নি। এদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষক তামান্না সিদ্দিকা ৬নং শর্তটি পুনর্বিবেচনা করার জন্য অধ্যায়ন ছুটি কমিটির সভাপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বরাবর অনুরোধ জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জেন্ডার এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মারুফা রহমান বলেন- যেহেতু এরকম কোন নিয়ম নেই যে, শিক্ষাছুটিতে গেলে ডরমেটরি ছাড়তে হবে, তাহলে এই নারী শিক্ষকের বেলায় কেন এমন শর্ত আরোপ করতে হলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে? একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে যদি নারী হওয়ার জন্য এমন বৈষম্যের শিকার হতে হয়, তাহলে কোথায় আমরা সমতার চর্চা করব বলেও প্রশ্ন করেন মারুফা রহমান। এটা স্পষ্টতই জেন্ডার বৈষম্য এবং নিন্দনীয়। যদি এখন থেকে নিয়ম আরোপ করা হয় যে, শিক্ষাছুটি নিলে ডরমেটরি ছাড়তে হবে, তাহলে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বর্তমানে যারা শিক্ষাছুটিতে রয়েছেন তাদের সকলের ক্ষেত্রেই ডরমেটরি ছাড়ার নিয়মটি প্রযোজ্য হওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু কালাম মো: ফরিদ উল ইসলাম বলেন- আসলে বিষয়গুলো যথাযথভাবে নিয়ম মেনে বাস্তবায়ন করা উচিৎ। নিয়ম বহির্ভূত এমন কর্মকাণ্ড স্পষ্টত জেন্ডার বৈষম্য। নারীর প্রতি এমন বৈষম্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এসময় খেয়াল খুশিমত প্রশাসনিক কার্মকাণ্ড পরিচালনা বন্ধ করার আহবান জানান তিনি। সার্বিক বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূখপাত্র (মৌখিক) তাবিউর রহমান, রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামাল, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সরিফা সালোয়া ডিনা এবং উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তারা কেউ রিসিভ করেনি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied