আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

গাইবান্ধায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩০ কোটি টাকার দরপত্রে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ

সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১২, দুপুর ১০:৩৮

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজের দরপত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ৩০ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ের ওই কাজের দরপত্র তিন দফায় আহবান করায় দরপত্র আহবান প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। এর ফলে শতকরা প্রায় ১৫ ভাগ ঊর্ধ্বদরে কার্যাদেশ দেয়ার সন্দেহ দেখা দিয়েছে অভিজ্ঞ মহলের মধ্যে। সে মতে কার্যাদেশ দেয়া হলে সরকারের প্রায় ৯ কোটি টাকা লোকসান হবে মর্মে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বরাবরে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন ঠিকাদার।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, যমুনা নদীর ভাঙন থেকে সাঘাটা বাজার রা প্রকল্পের আওতায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড দুটি দরপত্র আহবান করে। এতে ব্যয় ধরা হয় ৩০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের আওতায় ৪টি গ্রুপে প্রায় ২ হাজার ১৪২ মিটার কাজ করার কথা। কিন্তু এই পরিমাণ টাকার কাজের অভিজ্ঞতা না থাকায় গাইবান্ধার কয়েকজন ঠিকাদার ভাড়া করা লাইসেন্স দিয়ে ১১-১৫ ভাগ নিম্নদরে দরপত্র দাখিল করেন। ভাড়া করা ঠিকাদারি লাইসেন্সের স্বত্বাধিকারীরা হলেন তাজুল ইসলাম, মশিউর রহমান চৌধুরী, এমএএইচআরসি, আবুল হোসেন ও আতাউর রহমান। এর মধ্যে আতাউর রহমানের লাইসেন্স ১৫ ভাগ নিম্নদর দাখিল করা ঠিকাদার দরপত্রের চারটি গ্রুপেই নিম্ন দরদাতা নির্বাচিত হয়। ওই ঠিকাদারের লাইসেন্সে দাখিল করা দরপত্রে কার্যাদেশ দেয়া হলে সরকারের প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা সাশ্রয় হতো। কিন্তু পাউবো কর্তৃপক্ষ আতাউর রহমানের দরপত্র বাতিল করে এবং পরে ১৮ ও ১৯ জুলাই দ্বিতীয় দফায় দরপত্র আহবান করে। কিন্তু এবার শতকরা ১১-১৫ ভাগ উর্ধ্বদরে দরপত্র দাখিলের ব্যাখ্যা দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তা বাতিল করে পূনঃদরপত্র আহবান করেন।

গত ৫ নভেম্বর তৃতীয় দফা দরপত্র গ্রহণের দিনেও শতকরা ১১-১৫ ভাগ ঊর্ধ্ব দরে দরপত্র দাখিল করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বঞ্চিত ঠিকাদাররা অভিযোগ করেন, ১৫ ভাগ নিম্নদরে কার্যাদেশ দেয়া হলে ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা সাশ্রয় হতো। কিন্তু এখন ঊর্ধ্ব দরে কার্যাদেশ দিলে আরও সাড়ে ৪ কোটি টাকার সরকারি অর্থের অপচয় ঘটবে। এ ঘটনায় নির্ভরযোগ্য কয়েকটি সূত্র দরপত্র আহবান নিয়ে পাউবোর অভ্যন্তরে বড় ধরনের কারসাজির অভিযোগও করেছেন।

গাইবান্ধা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল মোস্তফা আশাফুদ্দৌলাকে বরাবার দরপত্র আহবানের বিষয়ে কোন ঠিকাদারি সমঝোতার মাধ্যমে অনিয়মের প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ঠিকাদারদের সমঝোতা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। এ ব্যাপারে পাউবো কর্তৃপক্ষ জড়িত থেকে কাজ ভাগাভাগির অভিযোগ অসম্ভব।

মন্তব্য করুন


 

Link copied