আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

ইন্টারনেট সেবায় সবচেয়ে পিছিয়ে রংপুর বিভাগ

বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২০, দুপুর ১২:০৬

ইন্টারনেট সেবার প্রসারের দিক থেকে দেশের গ্রামাঞ্চলগুলো শহরাঞ্চলের তুলনায় বেশ পিছিয়ে রয়েছে। এখন পর্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ইন্টারনেট সেবার আওতায় এসেছে ৩৩ দশমিক ২ শতাংশ পরিবার। শহরে এ হার ৫৩ দশমিক ২ শতাংশ। অন্যদিকে বিভাগওয়ারি হিসাব অনুযায়ী, পরিবারভিত্তিক ইন্টারনেট সেবার প্রসারের দিক থেকে চট্টগ্রাম বিভাগ ঢাকা বিভাগের চেয়েও এগিয়ে রয়েছে।

ইন্টারনেট সেবার সম্প্রসারণের দিক থেকে রংপুর বিভাগের পিছিয়ে থাকার কারণ জানতে চাইলে সেলফোন অপারেটর রবি আজিয়াটার চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, ইন্টারনেট সেবার ব্যবহার বাড়াতে ডিভাইসের সহজলভ্যতা ও সুলভে সেবাপ্রাপ্তির বিষয় দুটি গুরুত্বপূর্ণ। রংপুর অঞ্চলে সেবাটি তুলনামূলক কম বিস্তৃতির পেছনে অন্যতম কারণও এ দুটি। সারা দেশে থ্রিজি প্রযুক্তিতে ব্যবহারযোগ্য হ্যান্ডসেট যেখানে ৫০ শতাংশ, সেখানে রংপুরে এ হার মাত্র ৩২ শতাংশ।

প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ইন্টারনেট সেবার প্রসারে পিছিয়ে থাকার দিক থেকে রংপুরের পরই রয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগ। এখানকার মাত্র ২৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবার ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। এছাড়া রাজশাহীতে ২৮ দশমিক ৩ শতাংশ, বরিশালে ৩২ দশমিক ২, সিলেটে ৪০ দশমিক ৮, খুলনায় ৩৮ দশমিক ৭ ও ঢাকা বিভাগের ৪৭ শতাংশ পরিবার ইন্টারনেট সেবার আওতায় এসেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মানুষের আয় ও দৈনন্দিন জীবনযাপনের মান আগের তুলনায় বেড়েছে। ফলে ইন্টারনেটভিত্তিক নানা সেবার গ্রাহকও বেড়েছে। এছাড়া সেবার মূল্যহ্রাস ও তা সহজলভ্য করে তোলার বিষয়টিও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। এক সময় দেশে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ সরবরাহের জন্য ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান ছিল মোটে দুটি। পরবর্তী সময়ে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে কয়েক গুণে। এতে প্রতিযোগিতা বাড়ার পাশাপাশি ইন্টারনেট সেবার মূল্যও কমেছে। পাশাপাশি একাধিক সাবমেরিন ক্যাবলের সংযোগ এসব ব্যান্ডউইডথের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করছে।

শুরুতে ইন্টারনেট গ্রাহক ছিল শুধু ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীকেন্দ্রিক। ইন্টারনেট অবকাঠামো বিস্তৃত হওয়ায় এখন দেশের অন্যান্য স্থানেও সেবাটির গ্রাহক বাড়ছে। এ অবস্থায় নেটওয়ার্ক অবকাঠামো খাতে প্রতিযোগিতা বাড়ানো হলে দেশের অন্য স্থানগুলোয় ইন্টারনেট সেবার মূল্য আরো কমানো সম্ভব হবে বলে আরো মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলোয় ইন্টারনেটের সেবা বৃদ্ধিতে আরো অন্তর্ভুক্তিমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোয় দরিদ্রের সংখ্যা বেশি। এ কারণে এ অঞ্চলের মানুষের কাছে সুলভে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছতে দাম কমানোর পাশাপাশি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্যমতে, ২০০৮ সালে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র আট লাখ। চলতি বছরের আগস্ট শেষে এ সংখ্যা ১০ কোটি ৮১ লাখ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে সেলফোন অপারেটরদের ইন্টারনেট সংযোগের সংখ্যা ৯ কোটি ৯৬ লাখের বেশি। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) ও পাবলিক সুইচড টেলিফোন নেটওয়ার্ক (পিএসটিএন) অপারেটরদের দেয়া ইন্টারনেট সেবার আওতায় সংযোগ রয়েছে ৮৫ লাখ ৭০ হাজার। এর বাইরে ব্রডব্যান্ড ওয়্যারলেস অ্যাকসেস (বিডব্লিউএ) লাইসেন্সের আওতায়ও সেবা দিয়ে যাচ্ছে ওয়াইম্যাক্স অপারেটররা।

তথ্যমতে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সিংহভাগই সেলফোনের মাধ্যমে সেবাটি গ্রহণ করছেন। ডাটাভিত্তিক সেবা হিসেবে বাণিজ্যিকভাবে থ্রিজি প্রযুক্তি চালু হয়েছে ২০১৩ সালের অক্টোবরে। ফোরজি সেবা চালু হয়েছে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে। সেলফোন অপারেটরদের থ্রিজি ও ফোরজি সেবার আওতায় এরই মধ্যে যোগ হয়েছে বিপুলসংখ্যক গ্রাহক। তবে অবকাঠামোগত দুর্বলতা, মানসম্পন্ন সেবার অভাব ও সুলভে সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত না হওয়ায় ইন্টারনেটের প্রত্যাশিত সম্প্রসারণ ঘটছে না। এক্ষেত্রে সেলফোন অপারেটরদের ফোর ও ফাইভজি সেবার বিস্তৃতি এবং অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ইন্টারনেট সেবার পরিবারভিত্তিক গ্রাহক বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। খবর-সাইদ শাহীন, বণিক বার্তা

মন্তব্য করুন


 

Link copied