আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

রংপুর মেডিকেল; বদলীর ৪ মাসেও মিঠুর ভাতিজি বুঝিয়ে দেয়নি তার দায়িত্ব

সোমবার, ১৯ অক্টোবর ২০২০, দুপুর ০৩:৪৪

এদিকে রমেক হাসপাতালের দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেয়ায় হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকান্ড বিঘ্নিত হলেও অদৃশ্য কারনে নিরব ভুমিকা পালন করছেন সংলিষ্ট কতৃপক্ষ। খোজ নিয়ে জানা যায় মহিমিঠু বিদেশে থেকে ভাতিজি নওশীনকে দিয়ে পূনরায় রমেক হাসপাতালে তার অবৈধ রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। আর এ কারনেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন রমেক হাসপাতাল পরিচালকের সাবেক পিএ কাম হিসাবরক্ষক উম্মে সুলতানা নওশীন। এ ব্যাপারে হাসপাতালের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান পূনরায় রমেক হাসপাতালে মিঠুর রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, যারা নওশীনের  দূর্নীতির প্রতিবাদ করছেন তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে।

জানা যায়, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের মাফিয়া ডন বলে খ্যাত মোতাজ্জিরুল ইসলাম (মিঠুর) ভাতিজি উম্মে সুলতানা নওশীন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের একান্ত সহকারী হিসেবে কর্মরত থেকে পুরো হাসপাতালের টেন্ডার কোটেশনসহ কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার নেশায় মেতে উঠেন। চাঞ্চল্যকর এই তথ্য ফাঁস হওয়ার পর মাফিয়া ডন মিঠুর ভাতিজী নওশীনকে প্রায় ৪ মাস আগে লালমনিরহাটের সদর হাসপাতালে বদলি করা হলে তিনি নিজের কক্ষে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র আলমারিতে রেখে দরজায় তালা ঝুলিয়ে চলে গেছেন। নিজ কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে লালমনিরহাটের নতুন কর্মস্থলে কাগজে-কলমে যোগদান করলেও তিনি রংপুরে বদলীর ব্যপারে তদবীর শুরু করেছেন। এবং তার দূর্নীতির প্রতিবাদকারী মেডিকেলের চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলী করাসহ পূনরায় স্বপদে ফিরে এসে তাদের দেখে নেয়ার হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। হাসপাতাল কতৃপক্ষ বার বার বলার পরেও তিনি কোন কাগজ বুঝে দেয়নি এখনো। এমনকি লিখিত চিঠি দেয়ার পরেও কক্ষটির তালা খুলে কাগজপত্র বুঝিয়ে দেয়নি। ফলে হাসপাতালের পরিচালকসহ সব কর্মকর্তা নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে তালা মেরে রাখা কক্ষের দরজা খোলার সিদ্ধান্তই নিতে পারছেন না বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. রুস্তম আলী বিষয়টি নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied