আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

 width=
 
শিরোনাম: কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর      

 width=
 

দিনাজপুরে লড়াকু মুরগির গবেষণা খামার

শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০, দুপুর ০৩:১৯

শাহ আলম শাহী,বিশেষ প্রতিবেদক,দিনাজপুর থেকে: ফাইটার আছিল মুরগির গবেষণা খামার করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদ প্রাণীজ আমিষের উৎস এবং গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য মোরগ লড়াই’কে টিকিয়ে রাখতে পালন করছে আছিল মুরগি। দুর্লভ প্রজাতির আছিল মোরগের পাশাপাশি বন মোরগেরও বংশ বিস্তারেও কাজ করছেন তারা। এই আছিল মুরগির খামার এবং লড়াই দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছে অনেকেই। আছিল মুরগির খামার গড়তে অনেকে হয়ে উঠেছে আগ্রহী। চারপাশে অসংখ্য মানুষের তৈরি বৃত্তে প্রাণপণ লড়ে যাচ্ছে দু’টি মোরগ। মোরগের লড়াই দেখতে আশপাশের গ্রাম থেকে ছুটে আসে মানুষ। এ খেলাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। গ্রাম-বাংলার বিভিন্ন উৎসবে ও অন্যান্য মূহুর্তে শিশু কিশোরদের জন্য এই মোরগ লড়াই ছিল এক জমপেশ খেলার নাম। গ্রামবাংলার সচরাচর এই চিত্র সময়ের বিবর্তনে এখন আর আগের মতো চোখে পড়ে না। মোগল আমল থেকেই বাংলাদেশসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় মোরগ লড়াই ছিল খুবই প্রসিদ্ধ খেলা। সাধারণ আদিবাসী ও কৃষিভিত্তিক সমাজে এ খেলাটি খুবই আকর্ষণীয় এবং ঐতিহ্যবাহী খেলা হিসেবেই বিবেচিত ছিল। ঐতিহ্যবাহী খেলা হিসেবে মোরগ লড়াইয়ের সুখ্যাতি থাকলেও লড়াইয়ের মোরগ এবং খেলার ঐতিহ্য- দুই-ই হারিয়ে যেতে বসেছে।তাই,দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই আছিল মুরগির গবেষণা খামার করেছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের অডিটোরিয়াম-২ এর পাশে গড়ে তোলা হয়েছে এই খামার।এই খামার বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার জনপ্রিয় ও দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ছাড়াও বাইরে থেকে অনেক দর্শনার্থী আসছেন আছিল মুরগি দেখতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের জেনেটিক্স অ্যান্ড এনিমেল ব্রিডিং বিভাগের তত্ত্বাবধানে আছিল মুরগি গবেষণা চলছে। একজন প্রাণিসস্পদ কর্মকর্তা এনিয়ে পিএইচডি করছেন। পিএইচডিরত মো.আহসান হাবিব প্রামাণিক জানালেন,লম্বা পা, ঈগলের মতো চোখ, কম পালকের দুর্লভ প্রজাতির আছির মোরগ লড়াইয়ের জন্য সেরা। মোরগের নিজস্ব ফ্লাইং কিকের স্টাইলগুলোকে মানুষ বিভিন্ন নামে চিত্রিত করে। আসিল মোরগ দেখতে হিং¯্র হলেও এরা মারাত্মক প্রভুভক্ত। মালিকের আদর বোঝে, দেখলে ডাকতে থাকে, সামনে দিয়ে ঘুরাঘুরি করে। আদর করে এদের নামও রাখা হয়। প্রভুভক্ত এই মোরগগুলো মালিকের সম্মান রাখার জন্য খেলার মাঠে নিজের জীবন দিয়ে দেবে, কিন্তু হার মানতে নারাজ এই মোরগগুলো।অসম্ভব তেজি ও যোদ্ধা-প্রকৃতির মোরগ, দারুণ উড়তে পারে এরা। এদের পেছনের আঙুলটি এক ইঞ্চির বেশি লম্বা, দেখতে সূচালো পেরেকের মতো। আছিলের পাশাপাশি দূর্লোভ বন মোরগেও গবেষণা খামার গড়েছেন তারা।বাণিজ্যিকভাবে আছিল ও বন মোরগের খামার আমাদের দেশে লাভজনক। এদু’টি বাংলাদেশের ঐতিহ্যেও ধারক পাখি প্রজাতি মুরগি। সবচেয়ে সুবিধা হলো এ জাত দু’টি মোরগ পালনে তেমন ঝামেলা নেই, কারণ এরা নিজেরা চরে চরে খায়,অনেক বড় হয়।এ মোরগ প্রাকৃতিক পরিবেশে দ্রুত বর্ধনশীল। আছিলের পাশাপাশি দূর্লোভ বন মোরগেও গবেষণা খামার গড়েছেন তারা।বাণিজ্যিকভাবে আছিল ও বন মোরগের খামার আমাদের দেশে লাভজনক। এদু’টি বাংলাদেশের ঐতিহ্যেও ধারক পাখি প্রজাতি মুরগি। সবচেয়ে সুবিধা হলো এ জাত দু’টি মোরগ পালনে তেমন ঝামেলা নেই, কারণ এরা নিজেরা চরে চরে খায়,অনেক বড় হয়।এ মোরগ প্রাকৃতিক পরিবেশে দ্রুত বর্ধনশীল। এমনটাই জানালেন,বন মোরগ নিয়ে পিএইডিরত বিশ^বিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড.মো.কামরুজ্জামান মিথু। দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্স এন্ড এনিম্যাল ব্রিডিং বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.এম.এ. গাফফার,চেয়ারম্যান জানালেন, বাণিজ্যিকভাবে আছিল মুরগি আর বন মোরগের খামার আমাদের দেশে লাভজনক। এদু’টো জাত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী একটি প্রজাতি। সবচেয়ে সুবিধা হলো এ জাতের মোরগ পালনে তেমন ঝামেলা নেই, কারণ এরা নিজেরা চরে চরে খায়,অনেক বড় হয়।এ মোরগ প্রাকৃতিক পরিবেশে দ্রুত বর্ধনশীল। লড়াকু এই আছিল মুরগি ও বন মোরগের খামার করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাদের এই সাফল্য এখন অনেকের অনুপ্রেরণা। বাংলাদেশে এই আছিল মুরগি ও বন মোরগের খামারের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে,এমনটাই সাক্ষ্য দিচ্ছে এই খামারটি।সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত থাকলে এই লড়াকু আছিল মুরগি ও বন মোরগের খামার গড়ার প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে এমনটাই মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

মন্তব্য করুন


 

Link copied