স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্যোগ সহনীয় পাকা ঘর পেয়ে আনন্দে আপ্লুত নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ব্রহ্মোত্তর গ্রামের মাহামুদা বেগম। তার শারিরিক প্রতিবন্ধী মেয়েটি দিনাজপুর পলিটেকনিক ইন্সটিউটে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে লেখাপড়া করছেন। তার মেয়েকেও নীলফামারী জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে একটি ল্যাপটপ প্রদান করা হয়।
মাহামুদা বেগম বলেন, আগে ভাঙ্গা ঘরে বসবাস করতাম। বৃস্টির সময় পানির ঝাপটায় ভিজে যেতাম। ঘর পেয়ে তিনি শেখ হাসিনাদীর্ঘায়ু কামনা করেন। ওই উপজেলায় শুধু মাহামুদা বেগম নয়, ৩৬ অসহায় পরিবার দুর্যোগ সহনীয় পাকা ঘর পেয়েছে।
এদের মধ্যে কাশিরাম ইউনিয়নের বাঁশতলী পাড়ার দিনমজুর মিন্টু সরকার, বোতলাগাড়ির উত্তর সোনাখুলি মাঝাপাড়ার দিনমজুর আজিনুর রহমান বলেন, জীবনে ভাবতে পারিনি ছেলে-মেয়ে নিয়ে পাকা ঘরে থাকতে পারবো। সেই সাধ পুরোন করেছে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সরকার মানুষের এতো উপকার করে ভাবাই যায় না। একই ইউনিয়নের তেলীপাড়ার মোমিন আলী বলেন, হামরা যে আয় করি তা দিয়া জীবনে পাকা বাড়ি করতে পারতামনা। স্বপ্নেও পাকা ঘরে থাকবো ভাবতেই পারিনি। আজ বাস্তবে পাকা বানায় দিল প্রধানমন্ত্রী।
আজ শুক্রবার(২৩ অক্টোবর/২০২০) জানা যায়, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে এসব ঘর নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে উপকারভোগীদের মাঝে এই ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে কামারপুকুরে ৫টি, কাশিরাম বেলপুকুরে ৭টি, বাঙালিপুরে ৭টি, বোতলাগাড়ি ইউনিয়নে ১০টি ও খাতামধুপুরে ৭টি দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণ করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে ঘরগুলো নির্মিত হয়েছে। ইউনিয়ন ও উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটির মাধ্যমে তৃণমূলে উপকারভোগীদের তালিকা তৈরি করা হয়।
সৈয়দপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবু হাসনাত সরকার জানান, প্রধানমন্ত্রীর এসব দুর্যোগ সহনীয় ঘর পেয়ে অভাবী ও গরিব মানুষগুলো শান্তিতে আছেন।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসিম আহমেদ জানান, বরাদ্দকৃত কাজে উদ্যোগ নিয়ে বাথরুম টাইলস করে দেওয়া হয়েছে। এতে করে কাজটি আরও সুন্দর হয়েছে। যা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।