বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আসামী এএসআই রায়হানুলকে মাথায় হেলমেট পড়িয়ে পিবিআইয়ের গাড়ি থেকে নামিয়ে আদালতে আনা হয়। পরে হারাগাছ সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আমলি আদালতের বিচারক স্নিগ্ধা রায়ের নিকট রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। সন্ধ্যায় আসামীকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। রোববার থেকে পুলিশ হেফাজতে থাকলেও বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রায়হানকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এর আগে বুধবার আরো দুই আসামীকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গত শুক্রবার এএসআই রায়হান ওই ছাত্রীকে হারাগাছ থানা এলাকায় ক্যাদারের পুল নামক স্থানে ডা. শহিদুল্লাহ মিয়ার ভাড়াটিয়া সুমাইয়া আক্তার মেঘলা ওরফে আলেয়াার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে গত রোববার ভাড়াটিয়া মেঘলা ওরফে আলেয়া ও তার সহযোগী সুরভি আক্তারের সহায়তায় লালমনিরহাট জেলার বাসিন্দা বাবুল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদ মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। ওই দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে পুলিশ মেয়েটি ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় মেঘলা বেগমকে আটক করে পুলিশ। পরে রাতে আরেক সহযোগী সুরভিকেও আটক করা হয়। আটক মেঘলা ও সুরভি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবান বন্দি না দেয়ায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদের জেল হাজাতে পাঠানো হয়। এদিকে বুধবার বিকেলে বাবুল ও আজাদ আদালতে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। এঘটনায় নির্যাতিতার বাবা বাদি হয়ে হারাগাছ থানায় মামলা করেন। পওে মামলাটি পিবিআইয়ে স্থানান্তর করা হয়।
পিবিআই রংপুরের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন জানান,আসামী রায়হান আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে অপারগতা প্রকাশ করছে তার ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। ব্চিারক আগামী ৪ নভেম্বর রিমান্ড শুনানীর দিন ধার্য করেন। #