লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের পাটগ্রামে যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনা তদন্ত করছেন জাতীয় মানবধিকার কমিশন।
রোববার (১ নভেম্বর) সকালে বুড়িমারী স্থলবন্দর আসেন জাতীয় মানবধিকার কমিশনের অভিযোগ ও তদন্ত বিভাগের পরিচালক আল মাহমুদ ফাউজুল কবিরসহ ৩ সদস্যের একটি কমিটি। ওই তদন্ত কমিটি বুড়িমারী জামে মসজিদ, ইউনিয়ন পরিষদ, পুড়িয়ে ফেলারস্থলসহ বিভিন্নজনের সাক্ষ্য গ্রহন করবেন।
এ সময় কমিটি’র প্রধান ও জাতীয় মানবধিকার কমিশনের অভিযোগ ও তদন্ত বিভাগের পরিচালক আল মাহমুদ ফাউজুল কবির বলেন, নিহত জুয়েল কেন বুড়িমারীতে এলো? তাকে যখন মারধর করা হচ্ছে তখন তার সাথে থাকা অপর লোকটি তাকে রক্ষার চেষ্টা করেছে কি না? আবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি তাকে হঠাৎ করে কেন তাকে মারধর করলো? নিহত জুয়েল কোরআন অবমাননা করেছে কি না? ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হাফিজুল নিহত জুয়েলকে অন্য স্থানে না সড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ পরিষদে আটকিয়ে কেন রাখলো? অনেক পরে কি কারণে পুলিশকে খবর দেয়া হলো? বহিরাগত লোকজন কার ডাকে আসলো?এ ঘটনায় কারো ইদন্ধ আছে কি না সহ নানা বিষয়ে তদন্ত করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, কমিশন তদন্ত করে ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবেন।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পি এম রাহসিন কবির, সিনিয়ন সহকারী পুলিশ সুপার তাপস সরকার উপস্থিতি ছিলেন।
উল্লেখ্য, লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে যাকে পিটিয়ে হত্যার পর পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। সেই সহিদুন্নবী জুয়েল বুড়িমারীতে গিয়েছিলেন ওষুধ কিনতে।
নিহত সহিদুন্নবী জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রীপাড়া এলাকার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। গত বছর চাকরিচ্যুত হওয়ায় মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন তিনি।
এ ঘটনায় ৩ টি মামলা হয়েছে। জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফকার করেছে পুলিশ।