আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: ডিমলা উপজেলা নির্বাচন॥ এমপির ভাই, ভাতিজা ও ভাতিজি বউ প্রার্থী-তৃণমূলে ক্ষোভ       কিশোরী গৃহকর্মীকে খুন্তির ছ্যাকা; রংপুর মেডিকেলে মৃত্যু যন্ত্রণায় পাঞ্জা লড়ছে নাজিরা       সারাদেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি       হিট অ্যালার্টে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি       শিল্পী সমিতির নতুন সভাপতি মিশা, সম্পাদক ডিপজল      

 width=
 

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০২০, সকাল ০৯:৫৭

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের সহকারী পরিচালক এহতেরামুল হক স্বাক্ষরিত প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়েছে- অনলাইন পত্রিকা উত্তরবাংলা ডটকম এ গত ১৩ নভেম্বর ২০২০ ইং তারিখে প্রকাশিত ‘রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধুর দায়সারা ম্যুরাল নির্মাণ!’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে অসত্য তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। রংপুরের উত্তরবাংলা ডটকম-এর মতো জনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকায় এ ধরনের মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হোক আমরা তা প্রত্যাশা করি না। আমরা প্রতিবেদনটির প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তা প্রত্যাহারেরও অনুরোধ করছি। প্রতিবেদনটিতে বলা হয় মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ বাবদ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) থেকে দশ লক্ষ টাকা বাজেট পায় বিশ্ববিদ্যালয় এবং ম্যুরালের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য আবারো বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) কাছে চাহিদা পত্র পাঠিয়েছে তারা। সেই বাজেটের প্রায় দশ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস স্ট্যান্ডে (অস্থায়ী) বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ করে প্রশাসন। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্থায়ী ম্যুরাল, বেদি তৈরি, ল্যান্ড স্কেপিং এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রান্ডিং অংশটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। এরই মাঝে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটিকে ইতোপূর্বে ইউজিসি থেকে প্রাপ্ত বরাদ্দকৃত অর্থ পরিশোধ করা হয়। কাজটি এখনো চলমান, অবশিষ্ট কাজের বরাদ্দ চেয়ে ইউজিসি’র নিকট চিঠি দেওয়া হয়েছে। নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিটি একটি স্থায়ী ম্যুরাল এবং এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের উত্তর দিকের সম্মুখভাবে অবস্থিত। অনলাইন পত্রিকা উত্তরবাংলা ডটকম এ যেভাবে রির্পোটি প্রকাশিত হয়েছে তাতে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিটির ধরন অস্থায়ী, এটির অবস্থান বাসস্ট্যান্ড এবং ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধুর দায়সারা ম্যুরাল নির্মাণ বলা হয়েছে, পুরো প্রতিবেদনটিতেই শুধু মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।

প্রতিবেদকের বক্তব্য: ‘রংপুরের জনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকা উত্তর বাংলায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি ম্যুরাল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের সাথে কথা বলে প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রথমমত প্রকাশিত সংবাদটিতে জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের সহকারী প্রশাসক তাবিউর রহমানের বক্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নিউজে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল অস্থায়ী উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিবেদনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুারালকে অস্থায়ী উল্লেখ করা হয়নি বরং বাস স্ট্যান্ডকে অস্থায়ী উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলা একাডেমি অনুযায়ী ব্রাকেট বন্দী শব্দটি পূর্ববর্তী শব্দ বা বাক্যকে সম্পর্কিত করে।

প্রতিবাদে বলা হয়েছে এটি বাস স্ট্যান্ডে (অস্থায়ী) নয়, কিন্তু প্রতিবাদদাতা এটি সুকৌশলে এরিয়ে গেছেন যে স্থায়ী ক্যাম্পাস পার্কের মোড়ে হওয়ার পর থেকে বাসগুলো প্রতিবাদ দাতার উল্লেখিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের উত্তর দিকের সম্মুখভাবে রাখা হয়। সেজন্য এটিকে বাসস্ট্যান্ড নামেই অবহিত করা হয়। সেজন্য প্রতিবেদনে সেই জায়গাটি বাস স্ট্যান্ড (অস্থায়ী) নামে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে- ইজিসি থেকে বরাদ্দকৃত অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে। আর প্রতিবেদনেও ঠিক একই কথা উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইউজিসি থেকে দশ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পায় প্রশাসন। সেই বাজেটের প্রায় দশ লক্ষ টাকা ম্যুরাল বাবদ ব্যয় করা হয়েছে। প্রতিবাদদাতা এখানেও সুকৌশলে ইউজিসির বাজেট উল্লেখ না করে এড়িয়ে গেছেন।

কাজটি যে চলমান সেটা জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের সহকারী প্রশাসক তাবিউর রহমানের বক্তব্য থেকে স্পষ্টতই বুঝা যায়। সুতরাং এই অংশেও প্রতিবাদটি অহেতুক ছাড়া কিছুই নয়। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল বাবদ ইউজিসি থেকে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয় এবং সেই বাজেট থেকেই তা নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এটি সম্পূর্ণ আলাদা প্রকল্প এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আর যদি না হয় তাহলে নির্মাণ কাজ চলমান থাকা অবস্থায় কিভাবে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানকে অর্থ পরিশোধ করা হলো। আর চাহিদা পত্রই বা আবার কেন পাঠানো হলো।

প্রতিবেদনে দশ লাখ টাকার যেই বাজেট ইউজিসি থেকে দেয়া হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত সেই বাজেটের ব্যয় উল্লেখ করা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রশাসন আলাদা প্রকল্পের আওতায় সেটার সৌন্দর্য বর্ধন করতে পারে সেটা তাদের একান্তই নিজস্ব ব্যাপার। নিউজের মূল বিষয় ছিলো যে ম্যুরালটি ইতোমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে সেটির নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা। যা প্রতিবাদলিপিরি মাধ্যমেও সমর্থন দেওয়া হয়েছে। কোন উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে নিউজটি প্রস্তুত করা হয়নি। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই প্রস্তুত করা হয়েছে।

সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয়ের মত প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এ ধরনের মনগড়া প্রতিবাদ অযৌক্তিক এবং অপ্রয়োজনীয়। রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধুর দায়সারা ম্যুরাল নির্মাণ!

মন্তব্য করুন


 

Link copied