ডেস্ক: ২০২০ সাল। অনেকের জন্য বছরটি সৌভাগ্যের হলেও আবার অনেকেই চলতি বছরে হারিয়েছেন নিজেদের সুখের সংসার। আবার অন্যদিকে এ বছরের শুরুটাই হয়েছিল মহামারি করোনা দিয়ে। সবমিলিয়ে খুব একটা ভালো যায়নি এ বছরটি।
শাবনূর-অনিক: চলতি বছরের সবচেয়ে আলচিত ডিভোর্স ছিল শাবনূর ও অনিকের বিচ্ছেদের খবর। এ বছরের শুরুতেই স্বামী অনিক মাহমুদকে তালাক দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, ‘বনিবনা হচ্ছে না।’ এদিকে ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি অনিককে ডিভোর্স দেন শাবনূর। উকিলের মাধ্যমে তালাকের নোটিশ স্বামীর ঠিকানায় পাঠান ৪ ফেব্রুয়ারি। এরপর মার্চে বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
অপূর্ব-নাজিয়া: ছোট পর্দার জনপ্রিয় তারকা অপূর্ব। চলতি বছর ডিভোর্সের সূর বাজে তার সংসারেও। প্রায় ৯ বছরের সংসার ইতি টানেন তারা। ওইসময় নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিচ্ছেদের খবর জানান দিয়েছিলেন নাজিয়া। তবে কী কারণে তারা আলাদা হয়েছেন; তা কিন্তু স্পষ্ট করেননি এ দম্পতির কেউই। এদিকে ২০১১ সালের ২১ ডিসেম্বর নাজিয়া হাসান অদিতিকে বিয়ে করেছিলেন অপূর্ব। তাদের ঘরে জায়ান ফারুক আয়াশ নামে এক পুত্র সন্তানও রয়েছে।
পরীমনি-রনি: বড় পর্দার আলোচিত তারকা পরীমনি। চলতি বছর (২০২০) ভেঙে যায় তার সংসারও। এর আগে, একই বছর নাট্য নির্মাতা কামরুজ্জামান রনিকে মাত্র ৩ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন পরীমনি। চলতি বছর ১০ মার্চ হুট করেই রাজধানীর একটি কাজী অফিসে তারা গাঁটছড়া বাঁধেন। মূলত সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে রনির সঙ্গে তার পরিচয়, সেখান থেকে সখ্যতা। এরপর হুট করেই বিয়ে করেন দুজনই।
মুনমুন-মোশাররফ: ঢালিউডের নষ্ট যুগের আরেক নায়িকা মুনমুন। চলতি বছর ভেঙে যায় তার সংসারও। এ বছরের সেপ্টেম্বরে প্রথম তার বিচ্ছেদের খবরটি প্রকাশ্যে আসে। ডিভোর্সের নেপথ্যে জানা যায়, করোনাকালীন সময়ে লকডাউনে থাকায় অনেকের মতো মুনমুনের সংসারেও নেমে আসে অভাব। এরপর দুই সন্তান ও স্বামীকে নিয়ে সংসার চালাতে বেশ বেগ পেতে হয় মুনমুনকে। একপর্যায়ে সবকিছুর প্রতি বিরক্ত হয়ে মুনমুন বললেন, ‘আর পারলাম না।’ ব্যাস, বিচ্ছেদের চিঠি পাঠিয়ে দিলেন স্বামীর ঠিকানায়।
ফারিয়া-অপু: ছোট পর্দার জনপ্রিয় তারকা শবনম ফারিয়া। মাত্র আড়াই বছরে ভেঙে গেলো তার সংসারটিও। ডিভোর্সের নেপথ্যে জানা গেছে, সাংসারিক কিছু বিষয় এক না হওয়ায় বাধ্য হয়ে আলাদা হয়েছেন তারা। তবে এ নিয়ে দুজনের কোনও অভিযোগ নেই, নেই কোনও রাগ। নিজেদের মত ভালো থাকতেই মূলত তারা আলাদা হয়েছেন। এদিকে শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) বিচ্ছেদ পত্রে সই করেন দুজনই (ফারিয়া-অপু)। তবে বিচ্ছেদের পেছনে উল্লেখযোগ্য কোনো কারণ না থাকলেও ফারিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম। অনেক প্ল্যান ছিল দুজনের সংসার ঘিরে। কিন্তু নানাবিধ কারণে সেগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। ফলে আমরা দুজনই কঠিন সিদ্ধান্তটি নিয়েছি।