স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারী-২ আসনের সাংসদ সদস্য ও সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের করোনা রোগমুক্তির জন্য মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। আজ শুক্রবার(৪ ডিসেম্বর/২০২০) বাদ জুম্মা জেলার সকল মসজিদে বিশেষ দোয়া আয়োজন করা হয়।
এদিকে বাদ জুম্মার নামাজ শেষে সাংসদ নূরের দ্রুত সুস্থ্যতার জন্য জেলা কেন্দ্রীয় বড় মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন।
এদিকে নীলফামারী পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ এর আহবানে পৌর শহরের সকল মসজিদে এই দোয়ার আয়োজন করা হয়।
এ ছাড়া জেলা সদরের বিভিন্ন মসজিদে দোয়ায় অংশ নেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারন সম্পাদক মমতাজুল হক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুজার রহমান, সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মসফিকুর ইসলাম রিন্টু, সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাহিদ মাহমুদ সহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, নীলফামারী-২ আসনের সাংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর গতকাল বৃহস্পতিবার(৩ ডিসেম্বর) ঢাকায় করোনা পজেটিভ হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমরা মোবাইল ফোনে মাননীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে তার খোজখবর রাখছি। তিনি ভাল আছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ জানান, আসাদুজ্জামান নুর নীলফামারী সদর আসনের একাধারে চারবারের সংসদ সদস্য। তিনি এলাকাবাসীর কাছে মাটি ও মানুষের নেতা। এলাকার মানুষের জন্য দিনরাত কাজ করছেন এবং জনগণের সেবা করতে গিয়ে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা করে বাদ জুম্মা জেলা সদরের প্রতিটি মসজিদে মিলাদ ও দোয়া করা হয়।
উল্লেখ যে, আসাদুজ্জামান নূর নীলফামারী-২ আসন থেকে ২০০১, ২০০৮, ২০১৩ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দশম সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
৭৪ বছর বয়সী আসাদুজ্জামান নূর একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি।
“বাকের ভাই” খ্যাত এই অভিনেতা ১৯৭২ সাল থেকে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে স¤পৃক্ত থেকে বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন। এ পর্যন্ত দলের ১৫টি নাটকে ৬ শতাধিক বারেরও বেশি অভিনয় করেছেন তিনি। নির্দেশনা দিয়েছেন ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’ নাটকটি। তার অভিনীত টিভি নাটক “আজ ররিবার”, “কোথাও কেউ নেই”-এর “বাকের ভাই”, এই সব দিনরাত্রি’র “শফিক”, “অয়োময় নাটকের “ছোট মির্জা”, সবুজ ছায়া’র “ডাক্তার চরিত্রগুলো আজও মনে রেখেছেন দর্শক। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো- “শঙ্খনীল কারাগার(১৯৯২) ও আগুনের পরশমণি(১৯৯৪)।
আসাদুজ্জামান নূর ১৯৬৩ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দিয়ে রাজনীতিতে আসেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। দেশ স্বাধীনের পর যোগ দেন কমিউনিস্ট পার্টিতে। ১৯৯৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে তিনি আবারও প্রত্য রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দেন।