চেয়ারম্যানের সাথে হাজতে যাওয়া দুই সহযোগি হলেন তার ছেলে মানিক চন্দ্র রায় ও গোবিন্দ চন্দ্র সেনের ছেলে কানাই চন্দ্র সেন।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মতিউর রহমান তাদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
জানা যায়, আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিনের আবেদন করেন তারা। আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত ১৮ আগস্ট চেংঠী হাজরাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সহিদুল ইসলাম ঐ তিন জনের নামে মারধর করার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, চেংঠী হাজরাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অনিল চন্দ্র রায় ইউপি সদস্যদের নিয়ে ২৫ জুলাই তার পরিষদে আলোচনায় বসেন। সেখানে ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সহিদুল ইসলাম চেয়ারম্যানের অনিয়ম ও দূনর্ীতির প্রতিবাদ জানান । এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হন চেয়ারম্যান অনিল চন্দ্র রায় । চেয়ারম্যানের অনিয়ম ও দূনীতির কথা তুলে ধরার কারনে চেয়ারম্যান অনিল চন্দ্র রায় , তার ছেলে মানিক চন্দ্র রায় ও তার সহযোগি কানাই চন্দ্র সেন ইউপি সদস্য সহিদুল ইসলামের উপর হামলা করে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে ৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন । এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে পঞ্চগড় আদালতে তিন জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।