আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

আর ক্যাম্পাসে যাবেন না বেরোবি ভিসি!

বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২০, দুপুর ০২:৪৪

 বেরোবি প্রতিনিধি: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ভিসি নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ তার ভিসির কার্য মেয়াদে আর ক্যাম্পাসে আসবেন না, এমন খবরে বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। জানা যায়, আগামী বছরের ১৪ জুন ভিসির নির্ধারিত চার বছর মেয়াদ শেষ হবে। এই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলে অবরুদ্ধ হতে পারেন এমন আশঙ্কা থেকে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে না গিয়ে ঢাকা লিঁয়াজো অফিস থেকে অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৪ জুন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ ভিসি হিসাবে নিয়োগ পান নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি প্রদত্ত নিয়োগ শর্তে তাকে সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে অবস্থান করার নির্দেশ দেওয়া হলেও তিনি ধারাবাহিকভাবে ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত ছিলেন। নিয়োগ প্রাপ্তির পর ৯০ শতাংশ দিন ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিলেন না উপাচার্য। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা, অর্থ কমিটির সভা, একাডেমিক কাউন্সিলের সভা, নিয়োগ ও পদোন্নতি বোর্ডসহ অধিকাংশ সভা ঢাকা লিঁয়াজো অফিসে আয়োজন করেন উপাচার্য। মূলত ঢাকা লিঁয়াজো অফিস হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রশাসনিক ভবন। জানা যায়, নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ নিয়োগ পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে নিয়োগে অস্বচ্ছতা, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পদোন্নতি আটকিয়ে রাখা, একাডেমিক শৃঙ্খলা নষ্ট করা, অর্থ তছরুপসহ নানাবিধ অভিযোগ তোলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তবে এসব অভিযোগকে কখনই তোয়াক্কা করেননি উপাচার্য। সর্বশেষ গত ২০ ডিসেম্বর মানবন্ধন করে ভিসি কলিমউল্লাহকে ক্যাম্পাসে আসার আমন্ত্রণ জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপাচার্য ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলেই তাকে অবরুদ্ধ করতে পারে অধিকার সুরক্ষা পরিষদ। আর এ আশঙ্কা থেকে উপাচার্য ক্যাম্পাসে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মতিউর রহমান বলেন- উপাচার্য ইচ্ছা করেই অনেক সংকট তৈরী করেছেন। এসবের সমাধান তাকেই করতে হবে। এজন্য আমরা করোনার পূর্বে থেকে উপাচার্যের সাথে সাক্ষাত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তাকে না পেয়ে আমরা তার কার্যালয়ের দরজায় স্মারকলিপি টানিয়ে দিয়ে এসেছি। তারপরেও তার সাক্ষাত আমরা পাইনি। আমরা আশা করছি তিনি ক্যাম্পাসে আসবেন এবং যেসব সংকট তিনি তৈরী করেছেন সেসব সমাধানে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সাথে বসবেন। শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আবু কালাম মো: ফরিদ উল ইসলাম বলেন- উপাচার্য কবে ক্যাম্পাসে এসেছিলেন? তার কার্যদিবসের মধ্যে কতদিন এসেছিলেন, তিনি তা বলতে পারবেন? তিনি কখন ক্যাম্পাসে আসেন কখন চলে যান দুই একজন ছাড়া কেউ জানে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কল্যাণে এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য দ্রুত ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ তথা মাননীয় আচার্য এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সার্বিক বিষয়ে জানতে উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে ফোন দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেনি। উপাচার্য দপ্তরে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। দপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied