আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

“ক্ষমতার চেয়ার ও কারাগার খুব পাশাপাশি থাকে”

রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০, দুপুর ০৩:১২

রোববার (২৭ ডিসেম্বর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে কেরানীগঞ্জে মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার উদ্বোধনকালে এ মন্তব্য করে তিনি।

১/১১ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় নিজে কারাবন্দি হওয়ার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যারা রাজনীতি করি আমাদের ক্ষমতার চেয়ার ও কারাগার খুব পাশাপাশি থাকে। যেটা খুবই স্বাভাবিক। ২০০৭ এ যেটা হয়েছে ক্ষমতা ছাড়াও কিন্তু সবার আগে আমাকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। কাজেই সেটা আমরা জানি রাজনীতি করতে গেলে এটা হবে।

সংগ্রামী জীবনে বঙ্গবন্ধুর বারবার জেল খাটার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু অপরাধ করলেই যে জেলে যায় তা না। এর মধ্যে ১৯৪৮ সালে যখন আমাদের মাতৃভাষা বাংলার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল তখন জাতির পিতা যে প্রতিবাদ করেছিলেন সে প্রতিবাদের কারণে কারাগারে যেতে শুরু করেন। তারপর তার জীবনের অনেকটা সময় কারাগারে কাটাতে হয়েছে অত্যন্ত মানবেতরভাবে।

বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কারাগারে যাওয়ার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, কারাগারের সঙ্গে সব সময় আমাদের একটা সম্পর্ক আছে। ছোটবেলা থেকেই কারাগারে যাই, সেখানকার ভালো-মন্দ অনেক কিছু জানারও সুযোগ হয়। জাতির পিতা কারাগারের রোজনামচা ও অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়লে কারাগার সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন।

কারাগারকে সংশোধনাগার হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হলো কারাগারে শুধু অপরাধীদের বন্দি করে রাখা নয়, সঙ্গে সঙ্গে তাদের মন মানসিকতা পরিবর্তন করা, তাদের কিছু প্রশিক্ষণ দেওয়া, তাদের কিছু শিক্ষা দেওয়া এবং যাতে তারা বের হয়ে ভবিষ্যতে একই অপরাধে জড়িয়ে না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা কারাগারে এই ব্যবস্থা নিয়েছি। '

শেখ হাসিনা বলেন, কারাগারে যারা গ্রেফতার হয়ে যায়, স্বাভাবিক কেউ গ্রেফতার হলে তাদের পরিবারগুলো কষ্ট পায়। অপরাধ করে অপরাধী। কিন্তু তারপরেও তাদের পরিবারগুলো কষ্ট পায়। ... এতগুলো বেকার বসে থাকবে কেন? সেই জন্য সেখানে তাদের ট্রেনিং করানো, তাদের কিছু পণ্য উৎপাদন করা, সেই সঙ্গে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। বাজারজাত করার ফলে যে টাকাটা আসবে খরচ রেখে (লাভের) ৫০ শতাংশ যে উৎপাদন করবে সে পাবে। সে তা নিজে জমাও করতে পারবে, কিছু অংশ পরিবারকেও পাঠাতে পারবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কারাগারে কতগুলো পরিবর্তন এনেছি। আমাদের কারারক্ষীদের কোনো ট্রেনিং ছিল না, তাদের নিরাপত্তারও কোনো ব্যবস্থা ছিল না। এমনকী তাদের থাকারও ভালো ব্যবস্থা ছিল না। নতুন কারাগারে সেই ব্যবস্থাগুলো নেওয়া হয়েছে। আমরা কারাগারগুলোর উন্নতি করে যাচ্ছি। কারাগারে যারা যাবে রাজবন্দি বাদে, যারা কোনো অপরাধ করে যায় তাদের ট্রেনিং দিয়ে তারা যাতে যথাযথ মানুষ হয় সেভাবে আমরা ছেড়ে দেবো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটা আইন সব কিছুই ডিজিটালাইজ করে ফেলা হচ্ছে। যে কোনো মামলার কজ লিস্ট যেটা থাকবে সেটাও অনলাইনে জানা যাবে। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সমস্ত কাজগুলো যেন আরও সুন্দরভাবে সুষ্ঠুভাবে হয়। সেই ব্যবস্থাটা আমরা নিচ্ছি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied