স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের মুসরত ধুলিয়া হাজীপাড়া গ্রামে আজ সোমবার(৪ জানুয়ারী/২০২১) প্রকাশ্য দিবালোকে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে একটি অসহায় পরিবারকে উচ্ছেদের চেষ্টা করেছে প্রভাবশালী একটি চক্র। তারা দেশীয় অস্ত্র লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত ভাবে বসত ঘর ভাক্সচুর করাসহ বাড়ীর নারী পুরুষদের মারপিট করে। এসময় তারা টাকা লুট করে বাড়িতে আগুন লাগানোরও চেষ্টা করে। কিন্তু এলাকাবাসী ও পথচারীরা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে হামলাকারীদের সোহাগ নামে এক যুবককে আটক করে থানায় নেয়।
উক্ত গ্রামের মৃত ছফির উদ্দীনের স্ত্রী সাহেদা বেগম (৬৫) জানান, এই জমির মূল মালিক এলাকার মৃত হাজী মহির উদ্দীন। দীর্ঘ ৫০ বছর আগে তিনি তার নিজ জমিতে বসবাসের জন্য আমার স্বামীকে বাড়ি করে দেন। তারপর থেকে আমরা স্বপরিবারে এখানে বসবাস করে আসছি। হঠাৎ করে প্রতিবেশী খোরশেদ আলীর পরিবার এই জমির মালিকানা দাবি করে আমাদের বাড়ি ঘর সরিয়ে নেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে।
এরই সূত্রধরে আজ সোমবার সকাল ১০ টায় খোরশেদের পরিবার ও তাদের সহযোগী একই এলাকার মৃত. অছিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রউফ লাভলু ও মৃত. আবুল হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম বাদশা সহ তাদের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা শাবল, কোদাল, রড ও লাঠি নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাদের মাটির ঘর ভেঙ্গে ফেলে। এতে প্রতিবাদ করলে লাঠি ও রড দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। ঘরের ভেতর বাক্সে রাখা জমি কেনার ২ লাখ টাকা তালা ভেঙ্গে লুট করে নিয়ে যায়। পরে আমাদেরকে ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে দরজায় তালা লাগিয়ে আগুন লাগানোরও চেষ্টা করে। কিন্তু আমাদের আর্তচিৎকারে এলাকাবাসী ও পথচারীরা ছুটে এলে তারা সঠকে পড়ে।
জমির মালিক মরহুম হাজী মহির উদ্দীনের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজুর রহমানের দুই ছেলে মাহবুবুর রহমান মাস্টার ও হাসান আলী এসে আমাদের উদ্ধার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এ সময় তারা জানান, পৈত্রিক সূত্রে বর্তমানে ওই জমির মালিক আমরা। আমাদের দাদা ৫০ বছর আগে ছফির উদ্দীনকে নিজে বাড়ী করে দিয়েছেন। তাই আমরাও তাদেরকে বসবাস করতে দিয়েছি। তাদের সহযোগীতাও করি আমরা। অথচ সেই দরিদ্র অসহায় পরিবারটিকে বেআইনিভাবে গায়ের জোড়ে উচ্ছেদের অপচেষ্টা চালাচ্ছে এলাকায় দূর্বৃত্ত হিসেবে পরিচিত একটি চক্র। এর আগেও একটি ঘর ভেঙে দিয়েছে। রাস্তার সাথে একটি টিউবওয়েল ছিল, এলাকার গরীব মানুষেরা পানি সংগ্রহ করতো। সেটিও বন্ধ করে দিয়ে সেখানে মাটি ফেলে গাছ লাগিয়েছে ওই চক্রটি। এলাকার সবাই এদের নির্যাতনের শিকার।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ওসি মোঃ আবুল হাসনাত খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সোহাগ নামের একজন অটিক করা হয়েছে।