তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাই রোধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় ও নিরলস প্রচেষ্টায় আমরা কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। এ জেলার মানুষকে নিরাপদ রাখা, মাদক-সন্ত্রাস নির্মূল ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরো আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে রংপুরের পীরগঞ্জ থানায় অফির ইনচার্জ সরেস চন্দ্র এর সভাপতিত্বে মাসিক অপরাধ ও আইন শৃংখলা পর্যালোচনা সভায় এসব বলেন জেলা পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার।
এছাড়াও অপরাধ ও আইন শৃঙ্খলা পর্যালোচনা সভায় পীরগঞ্জ থানার পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, বিট পুলিশিং থাকলে জুয়া, মাদকের আসর এসব অবাধে চলতে পারবে না। কারণ বিট পুলিশকে মানুষ সহজে তথ্য জানিয়ে দিতে পারে। বিট অফিসারদের জন্য ডেডিকেটেড ফোন নম্বর আছে। কোনো অপরাধ, দ্বন্দ্ব-সংঘাত কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আগেই মানুষের দোরগোড়ায় এবং ঘরে ঘরে পুলিশি সেবা পৌঁছে দেওয়া, সাধারণ মানুষের মধ্যে পুলিশভীতি দূর করা এবং জনগণ ও পুলিশের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করতে হবে। এতে দুর্নীতির সুযোগ কমার পাশাপাশি পুলিশি সেবাটা সহজেই মানুষের কাছে চলে যাবে। পীরগঞ্জ থানা এলাকার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, মাদক উদ্ধার, জুয়া-চোরাচালান, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং প্রতিরোধ, আসামি গ্রেপ্তার, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলসহ থানায় আগত সেবা ভোগীদের সেবা প্রদান নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মধুসূদন রায়, ডি-সার্কেল রংপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান এবং পীরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত এবং ভেন্ডাবাড়ী তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জসহ থানার এসআই ও এএসআই গণ।