লালমনিরহাট প্রতিনিধি: সাবেক ছিটমহলের মানুষরা দীর্ঘদিন বন্দীদশায় ছিলেন, তাদের মুক্ত করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীয় শেখ হাসিনা। বহুল আলোচিত দহগ্রাম- আঙ্গোরপোতা করিডোরের উপড়ে দিয়ে ফ্লাইওভার নির্মাণের বিষয়টি নিয়ে উচ্চ মহলে আলোচনা করা হবে।, তবে এটি সময়ের ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার(১৪ জানুয়ারি) বিকেলে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সাবেক ছিটমহলের উন্নয়নমুলক কর্মকাণ্ডের পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন,ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশের সীমান্তররক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তাও কড়িডোর গেটে ফ্লাইওভারের বিষয়ে বলেছেন। এ বিষয় অবশ্যই উচ্চ মহলে আলোচনা করলে ফ্লাইওভার নির্মাণ হবে। কারণ ‘প্রধানমন্ত্রী সব করতে পারেন পদ্মা সেতুতে তার প্রামাণ’।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী তাজুল ইমলাম আরো বলেন, বিষয়টি আগে জানা ছিল না। আজ পরিদর্শন করে জনগণ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দাবির বিষয়টি উচ্চ মহলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সাবেক ছিটমহলের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া। যা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে।
সাবেক ছিটমহল বাঁশকাটা কমিউনিটি সেন্টারে স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কারণে ছিটমহল বিনিময়ে বিলম্ব হয়েছে। এরপরও সেই বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাত ধরেই ছিটমহল-বাসী দীর্ঘ অবরুদ্ধ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। শুধু মুক্তিই করেননি, প্রধানমন্ত্রী আপনাদের (সাবেক ছিটমহল-বাসী) ৬৮ বছরের উন্নয়ন মাত্র ৩ বছরেই করে দিয়েছেন। বিদ্যুৎ, ব্রীজ, কালভার্ট, কমিউনিটি সেন্টারসহ নানান প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সে গুলো পরিদর্শন কর আরও নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সাবেক ছিটমহলের উন্নয়নে ২২৫ কোটির টাকার উন্নয়নমুলক কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
তাই আগামী দিনেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের আওয়ামীলীগের পক্ষে থাকার আহবান জানান তিনি।
এ সময় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন, লালমনিরহাট ১ আসনের সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ, এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ খান, জনস্বাস্থ্যের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা প্রমুখ।
এর আগে বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার যোগে পাটগ্রাম হেলিপ্যাড মাঠে অবতরণ করেন মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। এরপর দহগ্রাম আঙ্গোরপোতা ছিটমহল পরিদর্শন করেন। এ সময় দহগ্রাম করিডোর গেটে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সদস্যরা মন্ত্রী গার্ড অব অনার প্রধান করেন।সাবেক ছিটমহলে বাস্তবায়নকৃত প্রকল্পগুলো পরিদর্শন শেষে সন্ধ্যার আগেই একই হেলিকপ্টার যোগে লালমনিরহাট ত্যাগ করেন মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।