আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ● ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি       রংপুর বিভাগে আসছেন ভূমিমন্ত্রী       রংপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের নব নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত       রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ আদায়       যুদ্ধ নয়, আলোচনায় সমাধান সম্ভব : প্রধানমন্ত্রী      

 width=
 

পরিবার নিয়ে দেখা যায় এমন সিনেমা তৈরি করুন: প্রধানমন্ত্রী

রবিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২১, দুপুর ০৪:৪১

রোববার (১৭ জানুয়ারি) জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।

সমাজ গঠনে চলচ্চিত্রের ভূমিকার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমি একজন রাজনীতিবিদ, যত বক্তৃতা দিয়ে মানুষকে যত কথাই বলি না কেন, একটা নাটক, একটা সিনেমা, একটা গানের মধ্য দিয়ে বা একটা কবিতার মধ্যে দিয়ে কিন্তু অনেক কথা বলা যায়, মানুষের অন্তরে প্রবেশ করা যায়, মনের গহীনে প্রবেশ করা যায়। সেজন্য এর একটা আবেদন কিন্তু রয়েছে।

শিশুদের জন্য শিক্ষণীয় চলচ্চিত্র নির্মাণের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের শিশুদের জন্য সিনেমা তৈরি করা একান্তভাবে প্রয়োজন। এর মধ্য দিয়ে একটা শিশু জীবনকে দেখতে পারবে, বড় হতে পারবে। শিশুদের জন্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করা এবং তার মধ্যে দিয়ে তাদের শিক্ষণীয় বিষয়গুলো প্রতিফলিত করা, এটাও কিন্তু করতে হবে। অনেক দায়িত্ব আপনাদের।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের শিল্প-সংস্কৃতি, সেগুলোও যেমন থাকবে, আবার বিশ্বের সঙ্গে তালমিলিয়ে চলার জন্য সেগুলোও থাকতে হবে। আন্তর্জাতিকভাবে সেগুলো যেন গ্রহণযোগ্যতা পায়। পাশাপাশি আমাদের যে মহান অর্জন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা যে বিজয় অর্জন করেছি, আমাদের সে বিজয়ের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, আমাদের চেতনা, আমাদের নীতি-আদর্শ- সেগুলো প্রতিফলিত হওয়া একান্ত দরকার।

মুক্তিযুদ্ধের ওপর আরও সিনেমা নির্মাণের আহ্বান জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ওপর আমি আপনাদের সিনেমা নির্মাণের অনুরোধ করবো- জাতির পিতাকে ১৫ আগস্ট হত্যা করার পর আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। কাজেই ইতিহাসটা যেনো সবাই জানে। আমাদের বিজয়ের ইতিহাসটা প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন মনে রাখতে পারে, সেই ধরনের চলচ্চিত্র আরও নির্মাণ হওয়া দরকার।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৫ অগাস্ট আমাদের জীবনটাকে পাল্টে দিল। তারপর থেকে আর বাংলাদেশের সংস্কৃতির চর্চার সেই গুরুত্বটাই নষ্ট হলো, আদর্শটা নষ্ট হলো। আমরা যে বাঙালি, আমাদের বাঙালির সংস্কৃতির চিন্তা চেতনাটাও নষ্ট হতে বসেছিল। এটা হলো বাস্তবতা।

সাংস্কৃতিক জগতের সঙ্গে নিজের পরিবারের সদস্যদের জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বাসায় সব সময় সবার অবাধ যাতায়াত ছিল। এমনটি ধানমন্ডি লেকের সামনে যখন শ্যুটিং হতো, তখন সবাই আমাদের বাসায় এসেই বসতো, চা-পানি পান করতো, খাবার খেতো। আমার মা সবাইকে আপ্যায়ন করতেন।

২০১৯ সালে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্য থেকে ২৫টি ক্যাটাগরিতে ছয়টি যুগ্মসহ মোট ৩১ জনকে জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হয়। এবার আজীবন সম্মাননা (যুগ্ম) পান বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেতা মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা) ও অভিনেত্রী কোহিনুর আক্তার সুচন্দা।

শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (যুগ্ম): ন ডরাই ও ফাগুন হাওয়ায়; শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র: নারী জীবন; শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র: যা ছিল অন্ধকারে- এ বছর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়।

মন্তব্য করুন


 

Link copied