রবিবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে এ কর্মসূচি পালন করছে তারা।
এসময় 'প্রশাসনের তালবাহানা চলবে না চলবে না, প্রশাসনের কালো হাত ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও, বৈধভাবে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ চাই দিতে হবে'এসব স্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন- অবৈধভাবে নিয়োগকৃত বিভাগীয় প্রধানের নিয়োগ বাতিল করে বৈধভাবে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগের দাবিতে আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। এর আগে প্রশাসনের কাছে এব্যাপারে জানিয়েও প্রশাসন কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় বাধ্য হয়েই আজকে আমরা কর্মসূচি দিয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ অবস্থান কর্মসূচি চলবে।
এ বিষয়ে রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তরিকুল ইসলাম বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও আদালতের রায় অনুযায়ী বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ চাই। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।
ড. বিজন মোহন চাকি বলেন, অবৈধভাবে নিয়োগকৃত বিভাগীয় প্রধানের কোন কর্মকাণ্ড বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মানে না। তাই বিভাগে এক ধরণের অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মোতাবেক বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দিতে প্রশাসনকে আহবান জানাই।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তার সাড়া মেলেনি।
প্রসঙ্গত, ১৬ জুন ২০২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ২৮ এর ২ ধারা ভঙ্গ সহযোগী অধ্যাপক ড. বিজন মোহন চাকী কে বিয়োগ বঞ্চিত করে অৈবধভাবে সহকারী অধ্যাপক তানিয়া তোফাজকে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর থেকে বিভাগটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বৈধ বিভাগীয় প্রধান নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে।