শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে হারাগাছ থানা পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে । রংপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার উত্তম প্রসাদ পাঠক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহত সাংবাদিক মিজানুর রহমান কাউনিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দৈনিক যায়যায়দিন এবং এশিয়ান টেলিভিশনের কাউনিয়া উপজেলা প্রতিনিধি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয় বখাটে হবু মিয়ার ছেলে পারভেজ হাসান সাংবাদিক মিজানুর রহমানের ভাতিজিকে প্রেমের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। এ অবস্থায় মিজানুর রহমান পারভেজের পরিবারকে বিষয়টি জানিয়ে দিয়ে তার ভাতিজিকে ইভটিজিং করতে নিষেধ করেন। এরপরেও গত ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি পারভেজ তার ভাতিজির মায়ের মোবাইলে বিভিন্ন রকম ক্ষুদেবার্তা পাঠায়। আবারও বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে পারভেজ ক্ষিপ্ত হয়ে দলবল নিয়ে গত ১৮ তারিখে মিজানুরের আরেক ভাতিজির বিয়ের অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে লাইটিং ছিড়ে ফেলে। পরে বিকেলে এ নিয়ে পারভেজের দেখা করে প্রতিবাদ জানালে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে হাতাহাতি হলে সাংবাদিক মিজানুরের বাড়িতেও হামলা চালায় তারা।
এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে হারাগাছের গফুরটারি এলাকায় পারভেজ টার দলবলকে সাথে নিয়ে তার উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এতে তার হাত ও হাতের আঙ্গুল জখম হয়। পরে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে কাউনিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
পরে মিজানুর বাদি হয়ে হারাগাছ থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিক মিজানুর রহমান বলেন, আমার ভাতিজিকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করায় আমার উপর হামলা করেছে। তাই মামলা করেছি। আমি এর শাস্তি দাবি জানাই।
এদিকে সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিটুলের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রংপুর ও কাউনিয়ায় সাংবাদিকরা। একই সঙ্গে হামলার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন।
বিষয়টি নিয়ে রংপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) উত্তম প্রসাদ পাঠক বলেন, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।