আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

 width=
 
শিরোনাম: কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর      

 width=
 

শ্রদ্ধার ফুলে ভাষা শহীদদের স্মরণে নীলফামারী শহীদ মিনার

রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, রাত ০২:০০

স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ রাষ্ট্রভাষা বাংলার জন্য পাকিস্তানি শাসকের বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন, ফুলেল শ্রদ্ধায় তাদের স্মরণ করেছেন নীলফামারী জেলার জন সাধারণ মানুষ। আজ ২১ ফেব্রুয়ারী রবিবার প্রথম প্রহরে জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রথম জানান জেলা প্রশাসক মোঃ হাফিজুর রহমান চৌধুরী। জেলা প্রশাসকের পরেই শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান (বিপিএম,পিপিএম), জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডারের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা কান্তি ভূষণ কুন্ডু, পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সিভিল সার্জন ডাঃ জাহাঙ্গীর কবীর। এরপর পর্যায়ক্রমে জেলা পরিষদ, সদর উপজেলা পরিষদ, সিআইডি, পুলিশ ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, ট্যুরিস্ট পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, জেলা আনসার কমান্ডার, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা কারাগার, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, নীলফামারী প্রেসকাব সহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা, রাজনৈতিক সংগঠন শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে মধ্যরাতে ঘড়ির কাঁটা ১২টা ছোঁয়ার আগেই শত শত মানুষ হাতে ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে যান শহীদ মিনার অভিমুখী লাইনে। বিশিষ্টজনদের শ্রদ্ধা জানানোর পর উন্মুক্ত হয় শহীদ মিনার। করোনা ভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বিনম্র শ্রদ্ধায় ভাষা শহীদদের স্মরণ করেন জেলার নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। এমনকি প্রথম প্রহরে কোমল শিশুরাও ভাষা শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনারের শ্রদ্ধার সাথে ফুল অর্পন করে। উল্লেখ যে, নীলফামারীতে মহান ভাষা আন্দোলনে দবির উদ্দিন আহমেদ, আবু নাজেম মোহাম্মদ আলী, আমেনা বেগম, খয়রাত হোসেন, শফিয়ার রহমান, এ্যাড. কাজী মাহবুবার রহমান দুলু, খাদেমুল চৌধুরী, ওলিয়ার রহমান, আব্বাস আলী, ইউছুফ আলী, আব্দুল গনি, খোরশেদ আলম, এমএ ছাত্তার আলী, ডাঃ ফজলুল হক, সামসুল হক, শওকত আলী, ফজলুল করিম সরকার, সমেলা রহমান, হালিমা বেগম, ফওজিয়া বেগম বেবী, হাসিনা বেগম, তৈয়বা খানম, মিসেস বুলু চৌধুরী, জাহেদা বেগম, জাকিয়া সুলতানা, রেজিয়া বানু, জেবুন নাহারের নাম পাওয়া যায়, নীলফামারীর সরকারী কলেজের শহীদ মিনারে। এই নামের তালিকায় ২৭ জনের মধ্যে রয়েছেন ১১ জন নারী। এদের মধ্যে এখন শুধু মাত্র বেঁচে আছেন সমেলা রহমান। তিনি বয়সের ভারে এখন ন্যুব্জ। এনারা ছাড়াও আরও অনেকে ছিলেন ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে। নীলফামারীতে প্রথম শহীদ মিনারটি প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল নীলফামারী মহিলা কলেজে। সে সময় যতদুর জানা গেছে দেশ বরেণ্য রাজনীতিক ও সাবেক মন্ত্রী খয়রাত হোসেন, শিক্ষাগুরু আবু নাজেম মো. আলী, এড. দবির উদ্দিন আহমেদ, সফিয়ার রহমান, সামসুল হক, আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ নেতার দিক নির্দেশনায় মূলত ছাত্ররাই ভাষা আন্দোলনের গতিটাকে ধরে রেখেছিলেন নীলফামারীর পথে-রাজপথে, প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে। কারাবরণও করেছিলেন সাবেক মন্ত্রী খয়রাত হোসেন, এড. দবির উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষাগুরু আবু নাজেম মো. আলী, শামসুল হক, সফিয়ার রহমান,আব্দুর রাজ্জাক এবং চায়ের দোকানদার মন্টু দত্ত প্রমুখ। প্রকাশ্যে থাকছে যে, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মিছিলে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর নির্দেশে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান সালাম, রফিক, বরকত, শফিউরসহ নাম না জানা অনেকে। এরপর বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দেয় তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী। ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

মন্তব্য করুন


 

Link copied