তিনি বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় সেতুসহ পুরো উত্তরবঙ্গে ডাবল লাইন চালু হবে। রেলের এই উন্নয়নের মাধ্যমে ঠাকুরগাঁও থেকে বগুড়া হয়ে ঢাকা যাওয়া যাবে মাত্র ৫ ঘণ্টায়।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ঠাকুরগাঁও রোড রেলস্টেশন উঁচুকরণ ও প্লাটফর্ম বর্ধিতকরণ প্রকল্পের উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধান অতিথির ভাষণে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিমাঞ্চল)মিহির কান্তি গুহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের সচিব সেলিম রেজা, মহাপরিচালক ডিএন মজুমদার, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কামরুজ্জামান সেলিম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাদেক কুরাইশী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অরুনাংশু দত্ত টিটো, ঠাকুরগাঁও পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যাসহ স্থানীয় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনায় রেল ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ ও আন্তর্জাতিকীকরণ প্রসঙ্গে বলেন, ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় হয়ে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু হচ্ছে। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান এই চারটি দেশের মধ্যে রেল যোগাযোগের সূচনা হবে এ অঞ্চলের পঞ্চগড় বাংলাবান্ধা হয়ে ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি রেল চালুর মাধ্যমে। এই পথে বাংলাদেশের ট্রেন ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি রেলস্টেশনে গিয়ে সরাসরি পৌঁছাবে। এছাড়াও কক্সবাজারের সঙ্গে সারাদেশের নিরবচ্ছিন্ন মাধ্যমে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপ্লব আনবে।
পদ্মাসেতুতে রেল সংযোগের কথা উল্লেখ করে বলেন, রেলের গতি ও সারাদেশের এমনকি আন্তর্জাতিক যোগাযোগের মাধ্যমে রেল যোগাযোগে নতুন যুগের সূচনা করা হবে।
তিনি দুঃখ করে বলেন, বিএনপি জামায়াত সরকার সৈয়দপুর রেল কারখানা বন্ধ করে দেওয়াসহ দেশের সকল উন্নয়নের পথ বন্ধ করে দিয়েছিল। ৭৫ সালে জাতির জনকের হত্যাকাণ্ডের কারণেই রেল আধুনিকীকরণ করতে স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলো।
সভায় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাদেক কুরাইশী ঠাকুরগাঁওবাসীর পক্ষ থেকে রেলসিট বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া রেলমন্ত্রীর কাছে পেশ করলে সে প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী বলেন, এ দাবিগুলো নোট করা হয়েছে, শুধু এগুলোই নয় আরও অনেক বেশি রেল সুবিধা মানুষ পাবে বলে ঘোষণা দেন।