আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: নীলফামারীতে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা গ্রেপ্তার       পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ       

 width=
 

মোবাইল চাওয়ায় সন্তানকে হত্যা; দশ মাস পর রহস্য উদঘাটন

শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, দুপুর ০৪:০৬

বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, নীলফামারীর সৈয়দপুরের রসুলপুর রেল কোয়ার্টারে ৫/৬ বছর থেকে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন নুর মোহাম্মদ। ২০২০ সালের ৩ এপ্রিল শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে স্ত্রী এবং দুই সন্তান নুপুর (৮) ও আবু সোহান (৭) সহ বাড়িতে টিভি দেখছিলেন নুর মোহাম্মদ। দুই সন্তানের খুনসুটির এক পর্যায়ে নুপুর কার্টুন দেখতে পিতার এন্ড্রয়েড মোবাইলটি বারবার চাইলেও তা না দেওয়ায় বাবাকে গালি দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নিজের মেয়ের গলা চেপে ধরে নুর মোহাম্মদ । এক পর্যায়ে নুপুর নিস্তেজ হয়ে পড়ে ও মৃত্যু হয়। পরে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার জন্য নুপুরের লেহেঙ্গার ওড়না দিয়ে কাপড় শুকানোর রশিতে ফাঁসি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে।

এ ঘটনায় ওইদিন সৈয়দপুর থানা পুলিশ অপমৃত্যু মামলা দায়ের করলে দীর্ঘ প্রায় দশ মাস তদন্ত করেও রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় তদন্ত কর্মকর্তার আদালতে আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত রংপুর পিবিআইকে মামলার তদন্তভার হস্তান্তর করে। পিবিআই পুলিশ সুপার জাকির হোসেনের নেতৃত্বে তদন্ত কর্মকর্তা নুরে আলম সিদ্দিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আলামত সংগ্রহ করে ৮ বছরের শিশুর লেহেঙ্গার ওড়না দিয়ে কাপড় শুকানোর হালকা রশিতে আত্মহত্যার বিষয়টি সন্দেহজন হওয়ার পিতা নুর মোহাম্মদকে আটক করে ব্যপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এক পর্যায়ে পিতা নুর মোহাম্মদ মোবাইল চেয়ে বারবার বিরক্ত করা ও গালি দেওয়ায় নিজ সন্তানকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচারের কথা স্বীকার করে। পরে সৈয়দপুর আমলী আদালত-২ আদালতে বিজ্ঞ সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদি হাসানের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন। বিচারক শুনানি শেষে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে রংপুর পিবিআই পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন বলেন, ঘটনার দশ মাস পর মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হলে মাত্র এগারো দিনের মাথায় আমরা মুল রহস্য উদঘাটনে সক্ষম হই। ঘাতক পিতার আদালতের স্বীকারোক্তির পর তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied