মমিনুল ইসলাম রিপন: মাইগ্রেশনের দাবীতে রাজপথে নেমেছে রংপুর নর্দান প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকাল ১০টা থেকে কলেজের ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী বুড়িরহাট সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। দুপুরে সবুজ নামে এক কলেজ কর্মচারী আন্দোলনরত পঞ্চম বর্ষের ছাত্র শিহাবকে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। এ ঘটনায় ফুঁসে উঠে শিক্ষার্থীরা। তারা বিক্ষোভ মিছিল করে মালিক পক্ষের লোকজনকে ধাওয়া করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে সোমবার আন্দোলনের কারণে অনন্ত ১০ শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল ডেন্টাল কাউন্সিল ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন না থাকা স্বত্ত্বেও ৩ শতাধিক দেশী-বিদেশী শিক্ষার্থীকে ভর্তি করে কর্তৃপক্ষ। অনুমোদন পাওয়ার আশ্বাস দিয়ে তারা কলেজের কার্যক্রম চালাচ্ছে। ধার করা রোগী ও শিক্ষক দিয়ে ক্লাস করিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন ধ্বংস করাসহ কর্তৃপক্ষ হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আলতাফ হোসেন বলেন, উত্তপ্ত পরিস্থিতি আমরা নিয়ন্ত্রণ করেছি। নর্দান মেডিকেলের সমস্যাটা দীর্ঘদিনের। কর্তৃপক্ষ এখানে দূর্বল-ভঙ্গুর পরিস্থিতিতে রয়েছে। ছাত্রদের জীবন নিয়ে ছিনিমিন খেলার কোন অধিকার নেই তাদের। এজন্য আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সব জায়গায় আমরা লিখবো।
এদিকে বিকেলে নর্দান প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ড. তাসকিনুর রহমান নগরীর এসোড ট্রেনিং সেন্টারে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, নর্দান প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ সরকারী নিয়ম-নীতি অনুযায়ী চলছে। ২০০০ সাল থেকে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত কলেজটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নিয়মিত অধিভূক্তি প্রাপ্ত এবং অধিভূক্তি নবায়নের মাধ্যমে অত্যন্ত সুনামের সাথে মেডিকেল শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বর্তমানে উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রেজিষ্ট্রেশনভূক্ত ও নিয়মিত এমবিবিএস শিক্ষার্থী হিসেবে অনুমোদন পেয়েছে। অথচ বলা হচ্ছে, মেডিকেল কলেজের কোন অনুমোদন নেই, ভূয়া রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে এমবিবিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ বানোয়াট।