জানা যায় যে, গত বছরের ০৯ জুন রেজিস্টার আবু হেনা মোস্তফা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর ১টি পদের নিয়োগের জন্য আবেদন করতে বলা হয়। এরপর প্রার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সোহেল রানাকে উক্ত পদে নিয়োগ দেয়া হয়।
উক্ত নিয়োগকালে নিয়োগকৃত সোহেল রানার বয়স ছিলো ৩৮ বছর ২ মাস ২২ দিন। সোহেল রানা প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা থেকে ২০০৭ সালে বিবিএ এবং একই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০০৮ সালে এমবিএ করেন। দীর্ঘকাল বিরতির পর ২০১৪ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিবিএড করেন দ্বিতীয় বিভাগে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রার্থীর বয়স অনুর্ধ ৩০ বছর কিন্তু নিয়োগকালে তার বয়স ছিল ৩৮ বছর ২ মাস ২২ দিন। বয়স কারচুপি করে নিয়োগ দেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ'র প্রতি নিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।
উক্ত বিষয়ে অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহবাহক ড. মতিউর রহমান বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্ষকই একজন ভক্ষক। সোহেল রানার নিয়োগটি বিধি লঙ্ঘন করে দেয়া হয়েছে। আমার মনে হয় শুধুমাত্র কর্মকর্তা-কর্মচারীই নয় বরং অনেক শিক্ষক নিয়োগেও বিধি লঙ্ঘন করে জালিয়াতির মাধ্যমে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের একটি সুউচ্চ তদন্ত কমিটি করে দ্রুত শাস্তির মাধ্যমে নিয়োগ বাতিল করা হোক।
বিষয়টি ভালোভাবে খুঁটিয়ে দেখার জন্য উত্তরবাংলার প্রতিনিধি সোহেল রানার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলতে অসম্মতি জানায় এবং দুর্ব্যবহার করে।
উক্ত বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি তিনি।