অন্যদিকে ইউজিসির তদন্ত কমিটির সদস্য ফেরদৌস জামান বলেন, ‘‘তার বিরুদ্ধে আমরা ফৌজদারী মামলারও সুপারিশ করেছি৷ তিনি একটি প্রকল্পের মোট তিনটি স্থাপনার নকশা নিজের ইচ্ছেমতো পরিবর্তন করে খরচ ১৩০ ভাগ বাড়িয়েছেন৷ আগের পরামর্শক বাদ দিয়ে নিজের ভাগ্নেকে প্রকল্পের পরামর্শক বানিয়েছেন৷ হেন কোনো নয়-ছয় নেই যা তিনি এই প্রকল্প নিয়ে করেননি৷ এখন প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷’’
এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় চার বছর আগে ৷ তার মধ্যে আছে ১০ তলা শেখ হাসিনা ছাত্রী হল, ড. ওয়াজেদ মিয়া গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ১০ তলা ভবন, ‘স্বাধীনতা স্মারক’ নামে একটি শহীদ মিনার ও দুইটি ল্যাব৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করেছিলেন৷ ২০১৮ সালে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু তারপর উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ একনেকের কোনো অনুমোদন ছাড়াই নকশা পরিবর্তন ও পরামর্শক বাদ দিয়ে তার ভগ্নেকে পরামর্শক নিয়োগ করে কাজ চালান৷ ফেরদৌস জামান জানান, ‘‘মূল প্রকল্প ছিল ৯৭ কোটি পঞ্চাশ লাখ টাকার৷ তিনি এটার ব্যয় বাড়িয়ে করেছেন ২১৩ কোটি টাকা৷’’
তদন্ত কমিটি সরেজমিন গিয়ে কাজের অবস্থা দেখে এই প্রতিবেদন দিয়েছে৷ তবে উপাচার্য অন্তত দুইবার তদন্ত কমিটির তদন্ত বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ আছে৷