রবিবার (৭ মার্চ) ঢাকার লিয়াজোঁ অফিসে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার নামে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় ঘটনা তদন্তে সহকারী প্রভোস্ট মাসুদুর রহমানকে প্রধান করে এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। তাকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে আদেশ দেওয়া হয়। তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে প্রতিবেদন দাখিল করার পর সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সেকশন অফিসার মরিুজ্জামান পলাশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের কম্পিউটার অপারেটর শেরেজামান সম্রাটকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং মাস্টাররোল কর্মচারী গুলশান আহমেদ শাওনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।
অন্যদিকে, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমকে শেখ হাসিনা হল এবং ড. ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউট ভবন নির্মাণ কাজে দায়িত্বহীনতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
তবে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের সভাপতি ফিরোজুল ইসলাম জানিয়েছেন, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে এভাবে চাকরিচ্যুত করা মৌলিক অধিকার ও আইনের পরিপন্থি। তিনি বলেন, ‘ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুটি ভবন নির্মাণকাজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদিত নকশা পরিবর্তন এবং প্রকল্প ব্যয় দ্বিগুণ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনায় উপাচার্যকে দায়ী করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। সেখানে ইউজিসির তদন্ত কমিটি নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমকে দায়ী করেনি, এমনকি তার সম্পর্কে একটি শব্দ লেখেনি। অথচ অন্যায়ভাবে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করা হলেও দুদক তদন্ত করে তাকে অভিযোগের দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। অন্যদিকে, তাকে এর আগে সাসপেন্ড করার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা চলছে। সেখানে তাকে সাসপেন্ড আদেশের বিরুদ্ধে স্টে অর্ডার দিয়েছেন হাইকোট।’ এতকিছুর পরেও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ করে এর তীব্র নিন্দা জানান তিনি।