স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত ছয়টি বেসরকারি পাটকলের মধ্যে পাঁচটিরই উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয় বাজারে কাঁচা পাটের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হওয়ায় গত দুই মাস থেকে ৫টি পাটকল বন্ধ করে দিয়েছে মালিকপক্ষ। বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা সৈয়দপুরের ছয়টি পাটকল হলো ইকু জুট প্রসেস, পোদ্দার অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, এনবি জুট মিলস, রানু অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, আফজাল জুট মিলস ও সেলিম জুট মিলস।
আজ শুক্রবার(১২ মার্চ/২০২১) কারখানা বন্ধের বিষয়ে ইকু জুট প্রসেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিদ্দিকুল আলম জানান, স্থানীয় বাজারে হঠাৎ করেই তিন হাজার টাকার কাঁচা পাটের দাম বেড়ে হয়েছে ছয় হাজার টাকা। দুই মাস ধরেই এ অবস্থা চলছে। অথচ আমাদের উৎপাদিত পাটপণ্যের দাম মোটেই বাড়েনি। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়ে ৫টি পাটকল মালিক উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে।
এদিকে ওইসকল পাটকলের শ্রমিকরা জানায়, ৫টি পাটকলের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় ১৫ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে।
এদিকে এক সময় পাট ছিল কৃষকদের গলার ফাঁস। পাট উৎপাদন করে দাম পেতোনা কৃষক। সরকার পাটজাত পণ্যের সরবাহ বৃদ্ধিতে পাটের চাহিদা অনেকাংশে বেড়ে যায়। বিশেষ করে চটের বস্তার চাহিদা কয়েকগুন বৃদ্ধি পায়। এতে পাটের দাম বৃদ্ধিও পায়। গত মৌসুমে পাট তোলার সময় শুরুতেই পাটচাষীরা ২ হাজার টাকা করে মন বিক্রি শুরু করে। এরপর এটি এসে দাঁড়ায় ৩ হাজার টাকা মন। তবে কৃষকরা জানায় গত বছরের উৎপাদিত পাট এখন তাদের ঘরে নেই। তারা সব পাটি বিক্রি করে দেয়। এই মৌসুমে তারা নতুন করে পাট উৎপাদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
একটি সুত্র দাবি করে বেশ কিছু পাট ব্যবসায়ীরা পাটের মজুদ গড়ে তোলায় তারা ইচ্ছেমত দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে তাদের প্রতিমন পাট দ্বিগুন দামে বিক্রি করছে।